সাড়ে ১১ লাখ টাকার পণ্য অর্ডার করে দীর্ঘদিনেও না পেয়ে প্রতারণার অভিযোগে ধামাকা শপিং ডটকমের চেয়ারম্যান ও পরিচালকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা করেছেন এক ব্যবসায়ী।
রোববার টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার মামলাটি দায়ের করেন টঙ্গী পশ্চিম থানার উত্তর আউচপাড়া এলাকার বাসিন্দা শামীম খান। তিনি একজন পোশাক কারখানার পার্টস ব্যবসায়ী।
মামলার আসামিরা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএমডি জসিমউদ্দিন চিস্তী, চেয়ারম্যান ডা. এম আলী ওরফে মোজতবা আলী, সিইও সিরাজুল ইসলাম রানা, প্রধান ব্যবসা কর্মকর্তা ডিএমডি দেবকর দে শুভ, নাজিম উদ্দিন আসিফ, এজিএম হেড অব একাউন্টস্ সাফোয়ান আহমেদ, ডেপুটি ম্যানেজার আমিরুল হোসাইন, আসিফ চিশতী, সিস্টেম ক্যাটাগরি হেড ইমতিয়াজ হাসান, ভাইস-প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম স্বপন ও উপব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরোধ বারান রায়।
মামলার বাদী শামীম খান বলেন, গত ২০ মার্চ অনলাইনে মাইক্রোড ট্রেড, ৪৩ মহাখালী আকুয়া টাওয়ার (লেভেল ৩ ও ৮) এর আওতাধীন ইনভ্যারিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেড পরিচালিত ধামাকা শপিং ডটকমের ফেইসবুক পেইজে বিভিন্ন ভার্চুয়াল সিগনেচার কার্ডের মাধ্যমে পণ্য কেনার অফার দেয়। অনলাইনে অফারটি দেখে আমি প্রতিষ্ঠানের হেল্পলাইনে যোগাযোগ করি। যোগাযোগ করার পর আমাকে জানানো হয়, পণ্য অর্ডার করলে ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করা হবে। সে অনুয়ায়ী বাদী ৮৪টি ইনভয়েসের মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত ইনভয়েসে ১১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা পরিশোধ করি। প্রতিষ্ঠানটি তার অর্ডার কনফার্ম করে এবং কনফার্ম ইনভয়েস জিমেইল আইডিতে পাঠায়। কিন্তু প্রতিষ্ঠান থেকে নির্ধারিত ৪৫ দিনেও আমার পণ্য সরবরাহ করেনি। ৫০ দিন পর সে হেল্পলাইনে যোগাযোগ করলে তাকে অপেক্ষা করতে বলা হয়। একমাস অপেক্ষা করার পর তাদের প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও ডাইরেক্টর অপারেশন কর্তৃক স্বাক্ষরিত তাকে সাউথ ইস্ট ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার দুইটি চেক দেয়া হয়। ওই চেক নিয়ে টাকা তুলতে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, একাউন্টে কোন টাকা নেই।
পরে ৫ আগস্ট প্রতিষ্ঠানের সিও মামলার ৩নং আসামি সিরাজুল ইসলামের কাছে গেলে তিনি টাকা না দিয়ে তাকে হুমকি দেন। পরে ৫ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে অফিসে গিয়ে দেখেন অফিস তালাবদ্ধ । এ থেকে বুঝতে পারি, তাদের প্রতারণার শিকার হয়েছি। এর কিছুদিন আগে পত্রিকা ও টেলিভিশনে খবরে জানতে পারি, বিপুলসংখ্যক ভুক্তভোগী প্রতিষ্ঠানের সামনে তাদের পাওনার জন্য অবস্থান নিয়েছে।