চীনের ১৩তম ইন্টারন্যাশনাল অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস এক্সিবিশন (এয়ারশো চায়না) আগামীকাল (মঙ্গলবার) শুরু হয়ে শেষ হবে আগামী রোববার। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত গুয়াংডং প্রদেশের আধুনিক শহর ঝুহাইয়ে এটি অনুষ্ঠিত হবে। এই ইভেন্টে বিশ্বের প্রায় ৪০টি দেশের ৭০০টি কোম্পানি অনলাইন ও অফলাইনে অংশ নেবে। সোমবার চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের কারণে এই ইভেন্ট এক বছর দেরিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চীনের উচ্চমাত্রার সামরিক শক্তি এই ইভেন্টের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা হবে। এই শো’তে অতি সম্প্রতি চীনের অ্যারোস্পেস কোম্পানিগুলোর তৈরি ক্যারিয়ার রকেট, স্পেসক্রাফট ও অতি-উচ্চতায় চলতে পারে এমন সব আধুনিক প্রযুক্তির ড্রোন প্রদর্শন করা হবে।
এই ইভেন্টে থাকবে ফ্লাইট শো। যাতে চীনের সবচেয়ে আধুনিক ফাইটার জেট জে-২০ অংশ নেবে। উন্নত প্রযুক্তির অন্যান্য সামরিক শক্তির মধ্যে থাকবে জে-১৬ডি ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার এয়ারক্রাফট, ডব্লিউজেড-৭ হাই-অলটিচিউড ড্রোন ও ডব্লিউজেড-৮ হাই-অলটিচিউড ও হাই-স্পিড ড্রোন। এই শো’তে চীন তাদের দেশে তৈরি সামরিক সক্ষমতার প্রদর্শন করবে। তারা এটি দেখাতে চায় যে, তাদের দেশে উন্নতমানের সামরিক সরঞ্জাম তৈরির সক্ষমতা রয়েছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া একটি ত্রিপাক্ষিক নিরাপত্তা চুক্তি করেছে। এই চুক্তির আওতায় অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন দেয়া হবে। মূলত চীনের ক্রমবর্ধমান শক্তিকে রুখতে এই চুক্তি করা হয়েছে। তাছাড়া গত শুক্রবার কোয়াড জোটের নেতারা হোয়াইট হাউজে সস্বরীরে বৈঠক করেছেন। এই জোটে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও ভারত। কোয়াড জোটেরও মূল উদ্দেশ্য চীনের ক্রমবর্ধমান শক্তিকে চ্যালেঞ্জ করা।
চীনের মিলিটারি কমেন্টেটর সং ঝংপিং বলেছেন, ‘পশ্চিমাদের কাছ থেকে চীন প্রতিনিয়ত হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। এই কারণে চীনের সামরিক-শিল্প, এভিয়েশন ও অ্যারোস্পেস সক্ষমতার উন্নতি করা দরকার।’