পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, আমাদের কাজ প্রকল্প আটকানো নয়। আমরা চাই দ্রুত কাজ হোক। তবে আইন-কানুনের মধ্যে থেকে কাজ করতে হবে। মানের সঙ্গে আপস করা যাবে না। মানসম্মতভাবে কাজ না করলে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে লাভ নেই।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জলবায়ু সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ এবং এসডিজি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ন্যাশনাল রেচিলিয়েন্ট প্রোগ্রাম (এনপিআর) কর্মসূচির আওতায় তিন দিনের এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জরুরি অবস্থায় আমরা সবাই এক হয়ে কাজ করি। কিন্তু স্বাভাবিক সময়ে কেন সেটি করি না। একই হাত, একই মাথা, একই মানুষ। তাহলে স্বাভাবিক সময়ে কেন জরুরি অবস্থার মতো ভালো কাজ হবে না।
তিনি বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধের চাপ অব্যাহত রাখতে হবে। এ দেশে দুর্নীতি আছে, এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। কিন্তু কাউকে মারধর করে দুর্নীতি বন্ধ করা যাবে না। বিভিন্ন আইন-কানুন দিয়ে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক রাম চন্দ্র দাস, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক আতিকুল হক এবং ইউএন ওমেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি গীতাঞ্জলী সিং।
এতে বক্তব্য রাখেন বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্ট্রেনদেনিং ইনভারমেন্ট, ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডিজাস্টার স্ট্যাটাটিকস প্রকল্পের পরিচালক রফিকুল ইসলাম।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক আতিকুল হক বলেন, সঠিক তথ্য সংগ্রহ সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে। আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য রেসকিউ বোট তৈরি করেছি। নারায়ণগঞ্জে ডকইয়ার্ডে তৈরি হচ্ছে। এ বোটে প্রতিবন্ধী, শিশু ও নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা আছে।
মূল প্রবন্ধে রফিকুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাছে যেসব তথ্য আছে সেগুলো সমন্বিতভাবে কাজে লাগাতে হবে। এজন্য এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দুটি প্রশ্নপত্র চূড়ান্ত করা হবে। যেমন কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশের নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশ্নপত্র চূড়ান্ত করা হবে।