সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যেসব অন্যায় ও অসঙ্গতি রয়েছে সেগুলো তুলে ধরাই সাংবাদিকদের কাজ বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। সাংবাদিকদের কারণে সমাজের চারপাশে ঘটে যাওয়া ইস্যু সম্পর্কে জানতে পারেন বলেও জানিয়েছেন উচ্চ আদালত।
আজ সোমবার বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।
দেশে চড়া সুদে ঋণদাতা মহাজনদের চিহ্নিত করার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি শেষে রায়ের সময় হাইকোর্ট বলেন, ‘পত্রিকা একটি তথ্য দিয়েছে। পথ দেখিয়েছে। সমাজে কী কী অসঙ্গতি হয় সেগুলো তুলে ধরাই সাংবাদিকদের কাজ। তাই বলে পত্রিকা একটা লাইন লিখলেই সেটা ধরে কিছুকে অবৈধ ঘোষণা করতে হবে, ব্যাপারটি এমন নয়। এ ধরনের ইস্যু নিয়ে কম করে হলেও তিন থেকে চার মাস ধরে কাজ করা উচিত।’
এ সময় রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে সতর্ক করেন হাইকোর্ট।
এই বেঞ্চের জেষ্ঠ বিচারক আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান আইনজীবী সুমনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘ভবিষ্যতে যে ইস্যু নিয়ে আসবেন সেগুলো নিয়ে যথেষ্ট চিন্তা ও গবেষণা করে আসবেন।’
আদালত আদেশে দেশের অননুমোদিত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড তদন্ত করতে বিশেষ কমিটি গঠনে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি নির্দেশ দেন। পাশাপাশি রেজিস্ট্রেশন প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
চড়া সুদে ঋণদানকারী স্থানীয় মহাজনদের তালিকা দিতে মাইক্রো-ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটিকে নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত। এ বিষয়ে আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে এ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।