‘স্বাধীনতার ৫০ বছরেও বিশ্বের পর্যটকদের জন্য বাংলাদেশকে উন্মুক্ত করে দিতে পারিনি’

নিজস্ব প্রতিবেদক

র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও বিশ্বের পর্যটকদের জন্য বাংলাদেশকে উন্মুক্ত করে দিতে পারিনি। এজন্য বেসামরিক সেক্টরকে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত রয়েছে। সেটা শুধু মুখে বলি। কিন্তু কাজে এগোতে পারিনি। আর এখন ট্যুরিস্ট অপারেটরদের শিক্ষিত গাইড দেওয়া প্রয়োজন।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

universel cardiac hospital

এদিকে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, করোনাকালে দেশের ভেতরে দুই কোটি পর্যটক ভ্রমণ করেছে । পর্যটন শিল্পকে আন্তর্জাতিক মানের উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। দেশের পর্যটনের টেকসই উন্নয়নে তৈরি হচ্ছে মহাপরিকল্পনা। দেশের মানুষের জীবনমান উন্নত হওয়ায় দেশে পর্যটনকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ছে। পর্যটন শিল্পে প্রচুর জনবল দরকার হয়।

তিনি বলেন, এখন অবধি দেশের পর্যটনে ৪৩ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। কক্সবাজারে নতুন তিনটি পর্যটন পার্ক তৈরি হচ্ছে। সেখানে আরও মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

মাহবুব আলী

মন্ত্রী বলেন, জাতীয় অর্থনীতিতে পর্যটন শিল্পের ভূমিকা বাড়াতে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে উন্নয়নের কাজ চলছে। গ্রামীণ ও প্রান্তিক মানুষের উন্নয়নে পর্যটন যেন ভূমিকা রাখতে পারে সে বিষয়েও কাজ চলছে। দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ এই শিল্প বাড়িয়ে তুলছে। করোনাকালে প্রায় দুই কোটি পর্যটক দেশের অভ্যন্তরে ভ্রমণ করেছে। যা করোনায় ক্ষতি পুষিয়ে তুলতে পর্যটন শিল্পকে সাহায্য করেছে। আমাদের দেশের প্রতি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষের আকর্ষণ রয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

মুজিববর্ষে পর্যটন, সম্প্রীতি ও উন্নয়ন প্রতিপাদ্যে সারাদেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব পর্যটন দিবস। দিবসটি উপলক্ষে সকালে পর্যটন ভবনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বাংলার ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি তুলে ধরতে স্বল্প পরিসরে আয়োজিত হয়েছে নাচ ও গান। এছাড়াও দেশীয় খাবারের প্রদর্শনী হয়েছে। পরে আলোচনা সভায় দেশের পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে সবাইকে আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী। আর করোনাকালীন ধাক্কা সামলে এই শিল্প এগিয়ে যাবে সেই প্রত্যাশা করেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের চেয়ারম্যান।

অনুষ্ঠানের শেষ অংশে উদ্বোধন করা হয় ‘সেন্টার ফর ট্যুরিজম স্টাডিজ’ এর। এখন থেকে বাংলাদেশের পর্যটন নিয়ে গবেষণা করবে এ প্রতিষ্ঠান।

শেয়ার করুন