সড়কে ট্রাফিক পুলিশের হয়রানিমূলক মামলা বন্ধসহ ছয় দফা দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে অ্যাপ-বেইজড ড্রাইভারস ইউনিয়ন অব বাংলাদেশ (ডিআরডিইউ)।
আজ সোমবার দুপুরে ডিআরডিইউ’র সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমেদ এ তথ্য জানান।
ডিআরডিইউএর সাধারণ সম্পাদক বলেন, গাড়ি কোথাও ব্রেক করলেই ধরে ফেলে ট্রাফিক পুলিশ। সরকার আমাদের জায়গা নির্ধারণ করে দিক। তাহলে আমরা যত্রতত্র দাঁড়াবো না। আমাদের শহর অনুযায়ী যতটুকু জায়গা দেওয়া যায় ততটুকু দেওয়া হোক। যদি ১০টা স্পট দেওয়া হয়, আমরা সেই ১০টাতেই দাঁড়াব।
বেলাল আহমেদ বলেন, সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা কয়েক দফা জানিয়েছি, কিন্তু কোনও প্রতিষ্ঠান আমাদের গ্রহণ করেনি। আমরা ষষ্ঠবারের মতো আন্দোলনে যাচ্ছি। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করবো। কোনও ভায়োলেন্সে বিশ্বাসী না।
ট্রাফিক পুলিশের হাতে ‘হয়রানির শিকার’ হয়েছেন দাবি করে সোমবার সকালে বাড্ডা লিংক রোড এলাকায় নিজের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন শওকত আলম সোহেল নামে এক চালক। ওই ব্যক্তি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালান বলে পুলিশের ভাষ্য। ট্রাফিক আইনে মামলা দেওয়ার পর ‘উত্তেজিত হয়ে’তিনি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেন।
বিষয়টি নিয়ে ডিআরডিইউর সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাড্ডার ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। হয়রানির জন্য একজন চালক তার মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। এ ধরনের ঘটনাও যদি পুলিশকে নাড়া না দেয়, তাহলে কি আত্মহুতী দিলে তাদের বিবেক নাড়া দেবে?
রাইড শেয়ার চালকরা রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে দাঁড়ালে যানজটের সৃষ্টি হয় বলে পুলিশের অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিআরডিইউ এর সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমেদ বলেন, আমরা কোনও মোড়ে দাঁড়াতে চাই না, আমরা কোথায় দাঁড়াবো, আমাদের নির্দিষ্ট করে বলে দেওয়া হোক। তাহলে সেখানেই দাঁড়াবো।
ডিআরডিইউয়ের দাবিগুলো হলো
১. অ্যাপস-নির্ভর শ্রমিকদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দিন, কর্ম ও সময়ের মূল্য দিন।
২. সব ধরনের রাইডে কমিশন ১০ শতাংশ নির্ধারণ করুন, মিথ্যা অজুহাতে কর্মহীন করা থেকে বিরত থাকুন।
৩. ঢাকা চট্টগ্রাম ও সিলেটে রাইড শেয়ারিংয়ের যানবাহন দাঁড়ানোর জায়গা করে দিন।
৪. সব ধরনের পুলিশি হয়রানি বন্ধ করুন।
৫. এনলিস্টকৃত রাইড শেয়ারকারী যানবাহনগুলোকে গণপরিবহনের আওতায় অ্যাডভান্সড ইনকাম ট্যাক্স (এআইটি) মুক্ত রাখুন।
৬. গতবছর গ্রহণ করা সব এআইটি এনলিস্টকৃত যানবাহন মালিকদের ফিরিয়ে দিন।