ই-কমার্স থেকে অর্থপাচারের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

অনলাইনে বিজনেস প্লাটফর্ম ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থপাচারের অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআরের) পলিসি কী তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

এছাড়া ই-কমার্স খাতের স্বার্থে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের করা ১৬ সদস্যের কারিগরি কমিটির কার্যবিধি কী তা জানাতে বলেছেন উচ্চ আদালত। আগামী ৮ নভেম্বরের মধ্যে এসব বিষয়ে জানাতে হবে। ওই দিন পরবর্তী আদেশ দেবেন আদালত।

মঙ্গলবার এ বিষয়ে পৃথক তিনটি রিটের শুনানি করে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আনোয়ারুল ইসলাম বাধন, মোহাম্মদ শিশির মনির ও হুমায়ন কবির পল্লব। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর ই-কমার্সের গ্রাহকদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসির ম্যান্ডেট অনুসারে একটি স্বাধীন ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন আইনজীবী মো. আনোয়ারুল ইসলাম। ২২ সেপ্টেম্বর মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন, ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের দুজন গ্রাহকের পক্ষে আরেকটি রিট করেন হুমায়ন কবির পল্লব।

২৩ সেপ্টেম্বর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ-এ কোটি কোটি টাকা আটকে থাকা ৩৩ জন গ্রাহক ডিজিটাল বা ই-প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষায় সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তৈরির জন্য অর্থনীতিবিদ, তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, ব্যবসায়ী ও অন্য অংশীজনদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন এবং ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট করেন। তাদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মোহাম্মদ শিশির মনির।

শেয়ার করুন