দেশে একদিনের ব্যবধানে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগের দিন এই সংখ্যাটা ছিল ২৫। একই সময় ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে আরও এক হাজার ৩১০ জনের শরীর। শনাক্তের সংখ্যাটাও গতকালের চেয়ে বেশি। গতকাল এক হাজার ২১২ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছিল। গত কয়েকদিন ধরে শনাক্তের হার ধারাবাহিকতভাবে কমে এলেও গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হারও বেড়ে ৪.৪৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৪৭০ জন। আর শনাক্তের মোট সংখ্যা ১৫ লাখ ৫৩ হাজার ৮৭৩ জন।
গত একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ১৯৫ জন। এদিন নমুনা পরীক্ষা করা হয় ২৯ হাজার ৫০৫টি।
মারা যাওয়া ৩১ জনের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ এবং ১৪ জন নারী।
গত কয়েক দিন ধরে শনাক্তের হার ক্রমান্বয়ে কমছে। গতকাল ২৭ সেপ্টেম্বর শনাক্তের হার ছিল ৪.৩৬। আগের দিন ২৬ সেপ্টেম্বর শনাক্তের হার ছিল ৪.৪১, ২৫ সেপ্টেম্বর ৪.৫৪ এবং ২৪ সেপ্টেম্বর ছিল ৪.৬১ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের পাঁচজন, খুলনা বিভাগের পাঁচজন, রাজশাহী বিভাগের তিনজন, বরিশাল বিভাগের দুইজন, রংপুর বিভাগে দুইজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুইজন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আটজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে পাঁচজন রয়েছেন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। ২১ সেপ্টেম্বর থেকে শনাক্তের হার আবারও পাঁচ শতাংশের নিচে রয়েছে।