মুজিব তনয়া শেখ হাসিনার জন্মদিন ২৮ সেপ্টেম্বর। এই দিনে সম্ভবতঃ তিনি দেশের বাইরে থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে এ সময়টায় তিনি প্রায় প্রতিবছরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত জাতিসংঘের সদরদপ্তরে অবস্থান করেন। কেননা এ সময়েই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বার্ষিক সাধারণ বৈঠক হয়ে থাকে এবং ঐ বৈঠকে পৃথিবীর তাবৎ রাষ্ট্র/ সরকারপ্রধান অংশগ্রহণ করে থাকেন। সেথায় তাঁরা তাঁদের দেশের পক্ষে বৈশ্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতির উপর বক্তব্য দিয়ে থাকেন। প্রায় ক্ষেত্রেই শতভাগ রাষ্ট্র/সরকারপ্রধান ঐ বৈঠকে উপস্থিত থাকেন। সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর মার্কিনী, রুশ চৈনিকদের পাশাপাশি দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতো এবং নাউরুর রাষ্ট্রপতি/প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থেকে নিজদের কথা তুলে ধরে থাকেন। নিজেদের সমস্যাদিসহ তাঁরা সব কথাই বলেন। বৈশ্বিক পরিবেশ-প্রতিবেশ, অর্থনীতি, রাজনীতি, কূটনীতি,, সন্ত্রাস আর যুদ্ধ কোনো কিছুই বাদ যায় না তাদের আলোচনা থেকে। এ বিশ্বটাকে কিভাবে অধিকতর বাসযোগ্য করা যাবে এই নিয়ে সকলেরই মাথা ব্যাথা।
এই মাথা ব্যাথা ছিল পিতা মুজিবের, আছে পুত্রী হাসিনার। জন্মদিনের ঘনঘটায় এই কথা কখনও ভুলেন শেখ হাসিনা। তাইতো এই সময়টাতে সাম্প্রতিককালে তিনি ব্যস্ত থাকেন বিশ্বসংস্থা জাতিসংঘে নানা তৎপরায়। এইবার পঁচাত্তর জন্মদিনে আরও আরও বিশ্বনেতৃবৃন্দের সাথে একযোগে কাজ করবেন জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আগামীর বিশ্ব যেন আগাামীর মানুষদের বাসযোগ্য থাকে সে লক্ষ্যে।তিনি মুজিবপুত্রী হাসিনা বলেই বিশ্বমানবের হয়ে কাজ করে যান অক্লান্ত অবিশ্রান্ত। কাজের মধ্যে সগৌরবে বেঁচে আছেন পিতা, বেঁচে থাকবেন কন্যা। ধন্য এ জন্ম, ধন্য এ বেঁচে থাকা।
“জয়তু হাসিনা”