করোনা আক্রান্ত ও করোনার লক্ষণ পাওয়া শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য আরও ৪ দফা জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের গত রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশ মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) প্রকাশ করা হয়।
আদেশে জানানো হয়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুনরায় শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় চালুর জন্য একটি গাইডলাইন, নির্দেশিকা এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) জারি করা হয়েছে। এছাড়াও মনিটরিং চেকলিস্টের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে দৈনিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ রোধে আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
জরুরি পদক্ষেপ:
১) শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের পর প্রথমেই শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সম্বন্ধে খোঁজ-খবর নেবেন।
২. শিক্ষার্থীর পরিবারের কেউ করোনা আক্রান্ত বা করোনার লক্ষণ (জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি) আছে কিনা তার খোঁজ নেবেন।
৩) কোনও শিক্ষার্থী বা তার পরিবারের কারও করোনা বা করোনার লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত সেই শিক্ষার্থীকে আইসোলেশনে রেখে বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন।
৪. প্রতিষ্ঠান প্রধান ওই শ্রেণিকক্ষের শিক্ষক এবং সব শিক্ষার্থীর দ্রুততম সময়ের মধ্যে করোনা টেস্ট করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
আদেশে বলা হয়, পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (সব অঞ্চল); উপ-পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সব অঞ্চল, সব জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং সব উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাদের আওতাধীন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বিষয়টি অবহিত ও বাস্তবায়নে তত্ত্বাবধান করবেন। সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে তদারকি ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা নিশ্চিত করার অনুরোধ করা হয় নির্দেশনায়।