কংগ্রেসে কানহাইয়া, মোদির সামনে নয়া চ্যালেঞ্জ!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

কানহাইয়া কুমার
কানহাইয়া কুমার। সংগৃহীত ছবি

মোদি বিরোধিতার সুর সপ্তমে তুলে তিনি বাম রাজনীতিতে নতুন করে জোয়ার আনার চেষ্টা করছিলেন। ভারতে বামপন্থী রাজনীতির পরবর্তী প্রজন্মের মুখ মনে করা হত তাকে। কিন্তু সেই জোয়ারে পুরোপুরি পাল তোলার আগেই চলে গেলেন কংগ্রেসে। রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে কংগ্রেসে নাম লেখান কানহাইয়া কুমার। কংগ্রেসে তার যোগদানের পর আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদি নয়া চ্যালেঞ্জে পড়বেন বলে মনে করা হচ্ছে।

তার মতো এমন লড়াকু বামপন্থী নেতা কেন এই সিদ্ধান্ত নিলেন সেটা নিয়ে কৌতূহল অনেকের। তবে কানহাইয়া নিজেই সেই কৌতূহলের নিরসন করলেন। কংগ্রেসে যোগদান করেই কানহাইয়া কুমার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে জানিয়ে দিলেন, দেশ চাইছে ভগৎ সিংয়ের সাহস, গান্ধীর একতাবোধ ও বিআর আম্বেদকরের সমতা। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের

universel cardiac hospital

কংগ্রেসের যোগ দিয়ে প্রথম বক্তব্যেই তিনি বলেন, এটা জরুরী সময়। দেশকে বাঁচাতে আদর্শের লড়াইতে কংগ্রেসই একমাত্র শক্তি। আমি একলা কিছু করতে পারব না। ৫৪৫টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২০০টি আসনে বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের সরাসরি লড়াই হয়েছে।

কানহাইয়া কুমার বলেন, যখন শপিং মলে আগুন লাগে তখন আপনি দোকান বাঁচাতে পারবেন না। সঙ্ঘ পরিবারকেও একহাত নেন তিনি। তিনি বলেন, অনেকেই বলেন, কংগ্রেস না বাঁচলে দেশ বাঁচবে না।

কানহাইয়া বলেন, আমি সিপিআইতে জন্মেছি। কিন্তু লড়াইটা আরও জোরদার করার জন্য কংগ্রেস এসেছি।

সিপিআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা কানহাইয়া সম্পর্কে বলেন, তিনি নিজেই নিজেকে বহিষ্কার করেছেন। তার মনে হয় কোনও ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে। তিনি কমিউনিস্ট আদর্শে ও শ্রমিক শ্রেণিতে বিশ্বাস করেন না। তবে তিনি আসার আগেও পার্টি ছিল, চলে যাওয়ার পরেও থাকবে।

এদিকে গুজরাতের নির্দল বিধায়ক জীগনেশ মেভানি বসেছিলেন তার পাশেই। তিনি অবশ্য কংগ্রেসে সরাসরি যোগ দেননি। তবে কংগ্রেসের আদর্শের পাশে রয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন