মমতা ব্যানার্জী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন কিনা তা নির্ভর করছে ভবানীপুরে উপনির্বাচনের ওপর। হিসাব সহজ- জিতলে থাকবেন, হারলে বিদায়। ফলে রাজ্যের আরও দুটি কেন্দ্রে বিধানসভার উপনির্বাচন হলেও সবার নজর এখন ভবানীপুরের দিকেই। স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে এসব কেন্দ্রে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ১০ বছর আগে এই ভবানীপুর থেকে জিতেই প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন মমতা। তার আগে একই আসন থেকে লোকসভার সদস্য হিসেবেও জনপ্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। ফলে এবারের নির্বাচনে মমতা জিতবেন, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র সংশয় নেই তৃণমূলে। কিন্তু দলটির কাছে মমতার এই লড়াই আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে ব্যবধানের কারণে।
গত মার্চ-এপ্রিলে আট দফায় বিধানসভার ভোটগ্রহণ হয় পশ্চিমবঙ্গে। ফলপ্রকাশ হয় ২ মে। এতে মমতার নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস ২৯২ (প্রার্থীর মৃত্যুতে শমসেরগঞ্জ বা জঙ্গিপুরে ভোট হয়নি) আসনের মধ্যে ২১৩টিতে জিতে ক্ষমতা ধরে রাখে। তবে দল জিতলেও নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যান তৃণমূল সুপ্রিমো। এরপর গত ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী পদে তৃতীয়বারের মতো শপথ নেন মমতা। তবে মন্ত্রিত্ব রাখতে হলে তাকে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে। এ কারণে পুরোনো ঘাঁটি ভবানীপুর থেকেই লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ‘ঘরের মেয়ে’।
এর আগে, বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর থেকে জিতেছিলেন তৃণমূলের প্রবীণ নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। মমতার জন্য কেন্দ্রটি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। সেই নির্বাচনে শোভনদেবের জয়ের ব্যবধান ছিল ২৭ হাজারের বেশি। এবার উপনির্বাচনে মমতার জয়ের ব্যবধান তার চেয়েও বেশি রাখতে চায় তৃণমূল।
ভবানীপুরে মমতার বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে লড়ছেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল, সিপিএমের প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস। তারা দুজনেই পেশায় আইনজীবী। সব মিলিয়ে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এ উপনির্বাচনে। এছাড়া শমসেরগঞ্জে প্রার্থীর সংখ্যা সাত ও জঙ্গিপুরে নয়।
ভবানীপুরে প্রচারণা শেষ হয়েছিল গত সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর)। শেষ দিনের প্রচারণা ঘিরে উত্তেজনার পারদ ছিল তুঙ্গে। নানা বিতর্ক পেরিয়ে অবশেষে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সেখানে। উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হবে আগামী রোববার (৩ অক্টোবর)।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা