প্রসঙ্গ : নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি

সৈয়দ শিশির

আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগের লগো

রাজনৈতিক ইস্যু বিবেচনায়ই নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি সম্প্রতি দেশজুড়ে আলোচনায় থাকছে। এরইমধ্যে সদ্য সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনাম সেলিমকে আহ্বায়ক করে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার অনুমোদনক্রমে ৮৭ সদস্যের এই আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ৮৭ সদস্যের এই আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে অনেকের মনেই অন্তত একটি প্রশ্ন জেগেছে- আহ্বায়ক কমিটির আকার এতটা দীর্ঘ না হলেই কি হতো না? যারা সত্যিই দলকে ভালোবাসেন, তাদের মধ্য থেকে নিশ্চয়ই কেউ আহ্বায়ক কমিটিতে নিজের নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য মরিয়া ছিলেন না। কারণ দল করা, দলকে ভালোবাসা আর কোনো কমিটিতে মরিয়া হয়ে জড়িয়ে থাকা এক নয়।

দলের গঠনতন্ত্র অনুয়ায়ী জেলা কমিটি হবে ৩৯ জন কর্মকর্তা ও ৩৬ জন সদস্যসহ মোট ৭৫ সদস্যবিশিষ্ট। আর এমন বাস্তবতায় সত্যিই কি আহ্বায়ক কমিটি ৮৭ সদস্যবিশিষ্ট করা খুব জরুরি ছিল?  

প্রশ্নটা করার কারণ হলো- চলতি বছরের ২৩ জুন উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হলো। আহ্বায়ক কমিটিতে নাম না রাখা হলে অভিমান বা বিদ্রোহ করে কেউ চলে যাবে, বা চলে গেলে আওয়ামী লীগ ডুবতে বসবে (!), তা কিন্তু নয়। আর গেলেই-বা ক’জন যাবে? যারা মনেপ্রাণে দল করে, কমিটিতে নাম না থাকলেও তারা দলের জন্য লড়াই করে। তাছাড়া দলের সবাই একথা অবশ্যই মানেন যে, জন্ম লগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ বাংলার মানুষের স্বপ্ন ও মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে পথ চলে। ১৯৮১ সাল থেকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নেতৃত্ব দিয়ে চলছেন বাংলার গণমানুষের প্রিয় সংগঠন আওয়ামী লীগের। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ পথ হাঁটছে উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায়। আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা- আগামী দিনের পথ চলায়ও আওয়ামী লীগ গৌরব ঐতিহ্যের ধারা সমুন্নত রাখতে সক্ষম হবে।

সৈয়দ শিশির : কবি ও সাংবাদিক

শেয়ার করুন