সময় গড়ানোর সঙ্গে তাল রেখে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে ভারতে। বর্তমানে দেশটিতে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৯, যা গত ১৯৭ দিনের মধ্যে সবচেয়ে কম।
শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে আসার পাশাপাশি ভারতে করোনায় দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুতেও নিম্নহার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শুক্রবার দেশটিতে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ২৪ হাজার ৩৫৪ জন এবং ওই দিন ভারতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৩৪ জনের।
তার আগের দিন, বৃহস্পতিবার ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ হাজার ৩০০ এবং এ রোগে মৃতের সংখ্যা ছিল ২৮২ জন।
অর্থাৎ, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশটিতে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা কমেছে ২ হাজার ৯৪৬ জন এবং মৃতের সংখ্যা কমেছে ৩৮ জন।
গত কয়েক মাস ধরে ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহের মধ্যে করোনায় সংক্রমণ-মৃত্যুতে শীর্ষে আছে কেরালা। শুক্রবারও সেই ধরাবাহিকতা বজায় ছিল।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শুক্রবার ভারতের সর্বদক্ষিণের এই রাজ্যটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৮৩৪ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন ৯৫ জন।
দৈনিক সংক্রমণ-মৃত্যুতে কেরালার পরই দ্বিতীয় স্থানে ছিল দক্ষিণাঞ্চলীয় অপর রাজ্য তামিলনাড়ু। শুক্রবার ওই রাজ্যে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৫৯৭ এবং এ রোগে সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের।
ভারতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি, কেরালায়। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ কোটি ৩৭ লাখ ৮৯ হাজার ৩৯৮ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ৪ লাখ ৪৮ হাজার ৬০৫ জনের।
এছড়া, মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ভারতে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৩ কোটি ৩০ লাখ ৬০ হাজার ৯৮০ জন।
সংক্রমণ রুখতে চলতি বছর ১৬ জানুয়ারি থেকে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে ভারত। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, টিকাদান কর্মসূচিতে এ পর্যন্ত মোট ৮৯ কোটি ৭৪ লাখ করোনা টিকার ডোজ ব্যবহার করা হয়েছে।