ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ক্রিকেটের আরব আমিরাত পর্বে সাকিব আল হাসানকে বাইরে রেখেই পাঁচটি ম্যাচ খেলে ফেলেছিলো কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রতিটি ম্যাচের আগে-পরেই আলোচনা হয়েছে, কেনো সাকিবকে নিচ্ছে না কলকাতা। যার কাছ থেকে কার্যকরী ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি দারুণ বোলিংও পেতে পারে তারা।
অবশেষে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ম্যাচে সাকিবকে নামিয়েছে কলকাতা। ম্যাচের প্রথম ইনিংসেই ফিল্ডিং ও বোলিং দিয়ে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ফিল্ডিংয়ে সরাসরি থ্রোয়ে এক রানআউট ছাড়াও বোলিংয়ে একটি উইকেট নিয়েছেন সাকিব। নিজের ৪ ওভার খরচ করেছেন মাত্র ২০ রান।
সাকিবের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ইনিংসে উজ্জ্বল ছিলেন কলকাতার অন্য দুই স্পিনার সুনিল নারিন এবং বরুন চক্রবর্তীও। যার ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রানের বেশি করতে পারেনি হায়দরাবাদ। জয়ে ফিরে প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখতে কলকাতার লক্ষ্য ১১৬ রান।
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে শুরু থেকেই হায়দরাবাদকে চেপে ধরে কলকাতা। পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে চারটি চারের মারে ১৮ রান নেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তবু প্রথম ৬ ওভারে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় মাত্র ৩৫ রান, সাজঘরে ফিরে যান ঋদ্ধিমান সাহা (০) ও জেসন রয় (১০)।
মাত্র ১৬ রানে দুই উইকেট পতনের পর তৃতীয় উইকেটে প্রিয়াম গার্গকে সঙ্গে নিয়ে চাপ সামাল দেয়ার কাজটা ভালোভাবেই করছিলেন উইলিয়ামসন। ইনিংসের সপ্তম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই জুটি ভেঙে দেন সাকিব। ওভারের পঞ্চম বলে কুইক সিঙ্গেল নিতে চেয়েছিলেন উইলিয়ামসন। সরাসরি থ্রোয়ে বিদায়ঘণ্টা বাজান সাকিব।
ইনিংসের সপ্তম থেকে ১৩ ওভার পর্যন্ত টানা চার ওভার বোলিং করেন সাকিব। এর মধ্যে নিজের দ্বিতীয় ওভারে পেতে পারতেন প্রথম উইকেট। কিন্তু প্রিয়াম গার্গের ফিরতি ক্যাচটি চেষ্টা করেও এক হাতে লুফে নিতে পারেননি তিনি। ফলে প্রথম দুই ওভারে উইকেটবঞ্চিতই থাকতে হয় তাকে।
অপেক্ষার প্রহর ফুরায় ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারে। উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে খেলতে গিয়েছিলেন অভিষেক শর্মা। কিন্তু আর্মার করে বসেন সাকিব। তাতেই ধরা অভিষেক, সহজ স্ট্যাম্পিং করেন দিনেশ কার্তিক। নিজের শেষ ওভারে স্পেলের একমাত্র বাউন্ডারি হজম করেন সাকিব। সবমিলিয়ে তার ৪ ওভারে আসে মাত্র ২০ রান।
সাকিবের এমন পারফরম্যান্সের দিন কম যাননি নারিন-বরুনও। কোনো উইকেট না পেলেও চার ওভারে মাত্র ১২ রান খরচ করেছেন নারিন। আরেক স্পিনার বরুন চার ওভারে ২৬ রান খরচায় নিয়েছেন ২ উইকেট। এছাড়া দুই পেসার শিভাম মাভি ও টিম সাউদিরও শিকার ২টি করে উইকেট।
হায়দরাবাদের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেছেন উইলিয়ামসন। এছাড়া আব্দুল সামাদ ২৫ ও প্রিয়াম গার্গের ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। এর বাইরে দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন কেবল জেসন রয়। যে কারণে ১১৫ রানের বেশি করতে পারেনি হায়দরাবাদ।