সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমার্ধেই গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে লালকার্ড খেয়ে মাঠ ছাড়েন বিশ্বনাথ ঘোষ। এরপরও হার মেনে নেয়নি অস্কার ব্রুজেনের শিষ্যরা। শেষ পর্যন্ত ইয়াসিনের গোলের সুবাদে ১-১ গোল ব্যবধানে ড্র করেই মাঠ ছেড়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিত্বকারীরা।
মালের জাতীয় স্টেডিয়ামে একাদশে দুটি পরিবর্তন নিয়ে নামে বাংলাদেশ। জুয়েল রানার জায়গায় সাদ উদ্দিন ও সুমন রেজার বদলে মতিন মিয়া খেলেছেন। ম্যাচের শুরুর দিকে ভারত বল দখলে এগিয়ে থাকলেও অনেক সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ।
ম্যাচের প্রথম সুযোগটা এসেছিলো বাংলাদেশের সামনেই। ষষ্ঠ মিনিটে জামালের পাস থেকে বাম পায়ের লং রেঞ্জ শট নিয়েছিলেন ইয়াসিন আরাফাত। কিন্তু সেটি পোস্টের বাম পাস দিয়ে চলে যায় বাইরে। ম্যাচের ২১ মিনিটে কর্নার থেকেও কিছু করতে পারেনি বাংলাদেশ।
ম্যাচের ২৬ মিনিটে ডান দিক থেকে প্রিতম কোতাল বল পাঠান উদন্ত সিংয়ের কাছে। বল পেয়েই কাট ব্যাক পাসে ছেত্রীকে দেন উদন্ত; বাংলাদেশের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোকে ফাঁকি দিয়ে জালে বল পাঠাতে ভুল করেননি ছেত্রী। এরপর প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ভারত।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় সমতায় ফেরার লক্ষ্যে মরিয়া হয়ে উঠে বাংলাদেশ। কিন্তু গোল হজমের পর দ্বিতীয়ার্ধে মাত্র নয় মিনিটের মাথায় ১০ জনের দলে পরিণত হয় বাংলাদেশ। লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বিশ্বনাথ।
এরপরও একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যায় জামাল ভূঁইয়ারা। কিন্তু মিলছিল না গোলের দেখা। অতপর ইয়াসিন আরাফাতের দারুণ হেডে ৭৩ মিনিটে ভারতের জালে লক্ষ্যভেদ করে বাংলাদেশ। ম্যাচের শেষদিকে দুদলই জয়সূচক নিজেদের দ্বিতীয় গোলের সন্ধানে একের পর এক আক্রমণ চালিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত আর গোলের দেখা মিলেনি। ফলে ১-০ গোল ব্যবধানেই শেষ হয়ে ম্যাচ।