মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। চার্জশিটভুক্ত অপর দুই আসামি হলেন- পরীমনির ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম দিপু ও পরীমনির বড় খালু কবীর হাওলাদার। আসামিরা সবাই জামিনে আছেন।
আজ সোমবার (৪ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে এই চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল।
সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আজকে (সোমবার) আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের যে ধারায় পরীমনির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল হয়েছে, তা রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে পারলে তার সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।
গত ৪ আগস্ট পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে মাদকসহ গ্রেপ্তার করে র্যাব-১। এ সময় তার বাসা থেকে বিদেশি মদের খালি বোতল, বোতলভর্তি মদ, ইয়াবা, আইস ও এলএসডি জব্দ করা হয়। পরে বনানী থানায় র্যাব-১ তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করে। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার হওয়ার পর পরীমনিকে তিন বার রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গ্রেপ্তারের ২৬ দিন পর গত ১ সেপ্টেম্বর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান পরীমনি।
এর আগে গত জুনে রাজধানীর আশুলিয়ায় অবস্থিত বোট ক্লাবের ঘটনায় আলোচনায় আসেন নায়িকা পরীমনি। আশুলিয়ার ওই ক্লাবে গভীর রাতে তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনেন ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে গত ১৪ জুন তিনি ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় নাসির ইউ মাহমুদ ও তার সহযোগী পরীমনির বন্ধু তুহিন সিদ্দিকী অমি গ্রেপ্তার হন এবং সম্প্রতি নাসির উদ্দিন আহমেদ জামিন পেয়েছেন।