রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে ঢাকামুখী অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা দূরপাল্লার বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে রাত থেকে ঘাট এলাকায় আটকে থাকতে হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে চালক ও সাধারণ যাত্রীদের।
বুধবার (০৬ অক্টোবর) সকাল থেকেই দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি সুষ্টি হয়েছে। ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের বাংলাদেশ হ্যাচারিজ পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার এলাকায় প্রায় চার শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। এসব অপেক্ষমাণ যানবাহনগুলোর মধ্যে নৈশকোচ ও পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা বেশি।
ঘাট সূত্রে জানা গেছে, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ২০টি ফেরি চলাচল করছে। এর মধ্যে আটটি বড় রো রো ফেরি এবং ১২টি ছোট ইউটিলিটি ফেরি। এ ছাড়া দৌলতদিয়ায় সাতটি ঘাটের মধ্যে পাঁচটি ঘাট সচল রয়েছে। এর মধ্যে ৫ ও ৭ নং ঘাট বড় রো রো ফেরির জন্য এবং ৩, ৪ ও ৬ নং ঘাট ছোট ফেরির জন্য। রো রো ঘাটে তিনটি করে পকেট রয়েছে ও ইউটিলিট ঘাটে মাত্র একটি করে পকেট রয়েছে। অর্থাৎ ইউটিলিটি তিনটি ঘাটে মাত্র তিনটি পকেটে তিনটি ফেরি ভিড়তে পারে। ফেরির সংখ্যা অনুযায়ী ঘাট সংকটের কারণে মাঝেমধ্যে অনেক ফেরি ঘাট না পেয়ে ঘাটের কাছে এসে দাঁড়িয়ে থাকে।
ঝিনাইদহ থেকে আসা রয়েল এক্সপ্রেস নৈশকোচের যাত্রী তালেব আলী বলেন, একটা জরুরি কাজে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে ঝিনাইদহ থেকে রাতের কোচ ধরি। ভেবেছিলাম রাতে হয়তো যানজট কম থাকবে, কম সময়ের মধ্যে ঘাট পার হয়ে ঢাকা যেতে পারব। কিন্তু রাত ৩টায় ঘাট এলাকায় এসে আটকে যায়। ঘাট থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে আছি। রাতে গাড়ি সামনে একটুও এগোয়নি। ভোরের দিকে এসে ধীরগতিতে একটু একটু করে গাড়ি এগোচ্ছে। এখনও ঘাট থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে আছি। ফেরির নাগাল পেতে ঘণ্টা দুয়েক সময় লাগবে মনে হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন বলেন, মূলত ফেরির তুলনায় ঘাট সংখ্যা কম থাকায় ফেরি ঘাটে ভিড়তে পারছে না। একটি ফেরি ঘাট থেকে ছেড়ে না যাওয়া পর্যন্ত অন্য ফেরি ঘাটে ভিড়তে পারছে না। ফলে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা ঘাটের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।