আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথমপর্বে গুরুত্বপূর্ণ ছয় ম্যাচ ওমানে। ‘বি’ গ্রুপের যে ম্যাচগুলোতে বাংলাদেশের খেলা তিনটি। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় শাহীনের প্রভাবে বিশ্বকাপের আশাই ছাড়তে বসেছিল ওমান।
ওমান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান পঙ্কজ খিমজি বার্তা সংস্থা ‘রয়টার্স’কে জানিয়েছেন, বিশ্বকাপকে বিদায় বলার মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন তারা।
গত রোববার ওমানে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় শাহীন। এতে কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে দেশটিতে। প্রচণ্ড বাতাস ও প্রবল বৃষ্টির কারণে ওমানের উপকূলীয় এলাকায় আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। স্থগিত করা হয় রাজধানী মাসকটের কিছু ফ্লাইট।
মাসকটেরই কাছে আল আমেরাত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো। ওমান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান পঙ্কজ খিমজি জানালেন, ঝড়টা আরেকটু এদিক সেদিক হলে বিশ্বকাপটাই শেষ হয়ে যেতো।
খিমজির ভাষায়, ‘আমরা আসলে কার্যত ছিটকে পড়ার দ্বারপ্রান্তে ছিলাম। উত্তরে কয়েক নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছিল ঘূর্ণিঝড়টি। যদি এই এলাকায় ধ্বংসযজ্ঞ ঘটতো, তবে আমাদের বিশ্বকাপকেই বিদায় বলতে হতো।’
তবে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি আল আমেরাত স্টেডিয়ামে। বরং বৃষ্টির কারণে উইকেটের উপকারই হয়েছে, মনে করছেন খিমজি। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে তিন-চার ইঞ্চি বৃষ্টি হয়েছে। তাতে করে মাঠ আরও বেশি সতেজ এবং সবুজ হয়েছে। এখন এটা দেখতে আরও ভালো লাগছে। ধুলো-ময়লা পরিষ্কার হয়ে গেছে।’
বিশ্বকাপের এ আসরটি হওয়ার কথা ছিল ভারতে। কিন্তু করোনার কারণে ওমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে স্থানান্তর করা হয়েছে সেটা। ক্রিকেটবিশ্বের ছোট দল হয়েও মর্যাদার এই আসর আয়োজন করতে পারা বড় সম্মানের মনে করছেন খিমজি।
তিনি বলেন, ‘ওমানে ক্রিকেট আসার ব্যাপারটা বিশাল। চিন্তা করতেও দারুণ লাগছে, প্রথম ম্যাচটা দেখার জন্য কত কত মানুষ উম্মুখ হয়ে থাকবে। একইসাথে বিশ্বকাপ আয়োজন এবং খেলার সৌভাগ্য সহযোগী কয়টি দেশের হয়েছে? এটা অবিশ্বাস্য। আমি যেন স্বপ্ন দেখছি।’