বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতিতে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার ম্যাচ। ওমান ‘এ’ দলের বিপক্ষে যে ম্যাচটি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্যও বড় পরীক্ষা বলা যায়। কেননা ঘরের মাঠে সর্বশেষ দুই সিরিজেই ‘উইকেটের অজুহাতে’ রান না করেও পার পেয়ে গেছেন তারা।
উইকেট বদলালো, বদলালো কন্ডিশন। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা কি নিজেদের ফিরে পেলেন? ওমান ক্রিকেট একাডেমিতে অনানুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচটিতে মোটামুটি উৎড়ে গেছেন লিটন দাস আর নাইম শেখ।
তবে সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেনরা প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। শেষদিকে নেমে অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে নজর কেড়েছেন নুরুল হাসান সোহান। তার ১৫ বলে ৪৯ রানের হার না মানা ইনিংসে ভর করেই ৫ উইকেটে ২০৭ রানের পাহাড় গড়েছে টাইগাররা।
ওমান ক্রিকেট একাডেমিতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নাইম শেখ আর লিটন দাসের জুটিতে উড়ন্ত সূচনা পায় বাংলাদেশ। নাইম যদিও শুরু থেকেই কিছুটা ধীরগতির ছিলেন, চালিয়ে খেলেছেন লিটন। ১১ ওভারে বিনা উইকেটেই ১০০ পার হয় বাংলাদেশের।
৩২ বলে ফিফটি পূরণ করেন লিটন। তবে এরপর আর উইকেটে থাকতে পারেননি। লেগস্পিনার সামায়কে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দেন ডানহাতি এই ওপেনার। লিটনের ৩৩ বলে ৫৩ রানের ইনিংসে ছিল ৬ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কার মার।
ওপেনিংয়ে ১০২ রানের জুটি ভাঙার পর উইকেটে আসেন সৌম্য সরকার। তবে ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারেননি এবারও। সামায়ার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ৮ বলে ৮ রানেই সাজঘরের পথ ধরেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। গোল্ডেন ডাকে ফেরেন মুশফিকুর রহিমও। ২ বলে ১ ছক্কায় ৬ রান করেন আফিফ হোসেন।
৪২ বলে ফিফটি ছোঁয়া নাইম ঠিক হাতখুলে খেলতে পারছিলেন না। শেষ পর্যন্ত স্বেচ্ছা অবসরে যান এই বাঁহাতি। ৫৩ বলে তার ৬৩ রানের ইনিংসে ছিল ৩টি চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা।
শেষদিকে নুরুল হাসান রীতিমত তাণ্ডব চালিয়েছেন। মাত্র ১৫ বলে ৭ ছক্কায় ৪৯ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। ১০ বলে ১৯ রানে তার সঙ্গে অপরাজিত থাকেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী।