সম্প্রতি দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ড মিয়ানমার থেকে আসা লাখ লাখ নাগরিকের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
আজ শনিবার বিকালে কক্সবাজার বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সচিব এই মন্তব্য করেন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ায় লাম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একদল দুর্বৃত্ত মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে। আলোচিত এই রোহিঙ্গা নেতা হত্যার খবরে কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে কিছুটা অস্থিরতা বিরাজ করছে। এই হত্যা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব।
সরকার এই হত্যার ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তাই এ ঘটনা প্রত্যাবাসনকে ব্যাহত করতে পারবে না।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আমরা মুহিবুল্লার পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেছি। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও দেখা হচ্ছে। ক্যাম্পে কোনো ধরনের অনিয়মকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে না। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর জন্যও বিভিন্ন বিষয়ে কাজ চলমান রয়েছে। ভাসানচর প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘ যুক্ত হয়েছে। আস্তে আস্তে সবকিছু সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকছে।
এর আগে শনিবার দুপুরে প্রতিনিধি দলটি মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনাস্থল কুতুপালংয়ের লম্বাশিয়া ক্যাম্প পরিদর্শন করে। সেখানে নিহত মুহিবুল্লাহর ভাই হাবিব উল্লার সঙ্গে কথা বলেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
প্রতিনিধি দলে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন ছাড়াও আছেন পশ্চিম ইউরোপ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মহাপরিচালক ফায়াজ মুর্শিদ কাজি, পররাষ্ট্রসচিবের দপ্তর মহাপরিচালক মো. আলীমুজ্জামান ও সহকারী সচিব শোয়াইব-উল ইসলাম তরফদার।