চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে নৌকাডুবিতে দুই শিশুসহ ১৮ জনের মৃত্যুর ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা দিতে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত।
আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান গত ২৬ আগস্ট এ স্থগিতাদেশ দেন। তবে স্থগিতের বিষয়টি গণমাধ্যমে আসে আজ সোমবার।
রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ২৬ আগস্ট চেম্বার আদালত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার রায়টি স্থগিত করেছেন। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলে আমরা পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
এর আগে গত ৩০ জুন চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে নৌকা ডুবিতে দুই শিশুসহ ১৮ জন নিহতের ঘটনায় প্রত্যেকের পরিবারকে ১৫ লাখ করে মোট ২ কোটি ৭০ লাখ দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। দুই মাসের মধ্যে এ টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়। দুই মাসের মধ্যে টাকা পরিশোধ ব্যর্থ হলে সুদসহ এই টাকা পরিশোধ করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
বিআইডব্লিউটিসি ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষকে সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে ১৮ পরিবারকে এই টাকা প্রদান করার কথা বলা হয়।
বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। রায়ে নৌকা ডুবির ঘটনায় বিআইডব্লিউটিসি ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের অবহেলাকে দায়ী করা হয়। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২ এপ্রিল সন্ধ্যায় বঙ্গোপসাগরের সন্দ্বীপ চ্যানেলে সি-ট্রাক থেকে যাত্রী নামিয়ে ১৫০ গজ দূরে গুপ্তছড়া ঘাটে পৌঁছে দেওয়ার সময় যাত্রীবাহী নৌকাটি উল্টে যায়। দুর্ঘটনার এক ঘণ্টার মধ্যে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ৩০ জনকে উদ্ধার করা হয়। সি-ট্রাকে করে কয়েকশ যাত্রী চট্টগ্রামের কুমিরা ঘাট থেকে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটে যাচ্ছিলেন। সি-ট্রাক ঘাটে ভিড়তে না পারায় ১৫০ গজ দূরে নোঙর করে নৌকার মাধ্যমে যাত্রীদের পারাপার করা হয়। ওই ঘটনায় দুই শিশুসহ ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সন্দ্বীপের বাসিন্দা মোহাম্মদ জহরুল ইসলাম হাইকোর্টে রিট করেন।