‘কুমিল্লার ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ফাইল ছবি

কুমিল্লায় একটি পূজামণ্ডপে কোরআন পাওয়া যাওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট ঘটনার পেছনে কারা রয়েছে তাদের খুঁজে বের করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই ঘটনার তদন্ত চলছে, জড়িতদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে জানান তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি আয়োজিত শারদীয় দুর্গাপূজার মহানবমীর অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

universel cardiac hospital

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কুমিল্লার ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। এখন ডিজিটাল যুগ। যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের খুঁজে বের করবো। তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। যে ধর্মের হোক না কেন বিচার করা হবে।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা এদেশের নাগরিক, সম-অধিকার পাবেন। নিজ স্বাধীনতা নিয়ে ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করবেন। ইসলাম ধর্ম বিভেদের কথা বলে না। ইসলাম ধর্ম বিভেদের কথা বলে না। ইসলাম সব ধর্মের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। স্বাধীনতা নিয়ে মানুষ যার যার ধর্ম পালন করবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গতবার করোনার কারণে পূজা সীমিত পরিসরে হয়েছিল। এবার করোনার প্রকোপ কমে আসায় মণ্ডপের সংখ্যাও বেড়েছে। গতবারের চেয়ে এবার এক হাজার ৯০৫টি মণ্ডপ বেড়েছে। এবার শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপিত হচ্ছে। মন্দিরগুলোতে নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত আছে। স্থায়ী মন্দির ছাড়া যখন অস্থায়ী মন্দির হয় তখনই কিছু লোক সুযোগ নেয়। পূজা উদযাপন পরিষদসহ যারা আছেন তারা বিষয়টি যেন মনিটরিং করেন। কোথায় কতগুলো মণ্ডপ হবে এ বিষয়ে তারা নির্ধারণ করে দিতে পারেন।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে দলটির সভাপতি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরও অনুরোধ করব তারাও যেন মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তার বিষয়ে সহযোগিতা করেন। আমি চাই দেশের মানুষ সুন্দরভাবে উৎসব উদযাপন করবেন। তারা ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করবেন সেটিই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য।

এক সময় পূজা দেখতে যেতেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আগে বিভিন্ন মন্দিরে যেতাম, ঘুরতাম, খেতাম। এখন আর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পারি না। আমি বের হলেই জ্যাম লেগে যায়। ঢাকেশ্বরী মন্দির ও রামকৃষ্ণ মিশনে যেতাম। এখন একটা বড় জেলে বন্দী আছি। ২০০৭ একটা ছোটো জেলে ছিলাম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বারবার মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচেছি। যেকোনো সময় আঘাত আসবে। সেটা নিয়ে ভাবি না। যতক্ষণ শ্বাস আছে মানুষের জন্য কাজ করে যাবো। আমার অবর্তমানেও যেন দেশ এগিয়ে যায় সেটার ব্যবস্থাও করে যাচ্ছি।

শেয়ার করুন