মোস্তফা (সা.) পুরস্কার ২০২১ পেলেন পাঁচ মুসলিম বিজ্ঞানী। ইসলামি বিশ্বে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রসারের জন্য এ পুরস্কার চালু করা হয়। ইরানের চালু করা এ পুরস্কারকে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর মুসলমান বিজ্ঞানীদের জন্য ‘নোবেল’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ইরানের গণমাধ্যম তাসনিম নিউজ এজেন্সি এ তথ্য জানায়।
চার ক্যাটাগরিতে দেওয়া হয় মোস্তফা পুরস্কার। এগুলো হলো— তথ্য এবং যোগাযোগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি; জীবন এবং চিকিৎসা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি; ন্যানোসায়েন্স ও ন্যানো টেকনোলজি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সব ক্ষেত্র।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা ১০ লাখ মার্কিন ডলার করে পাবেন। তাদের ২১ অক্টোবর পুরস্কার দেওয়ার কথা রয়েছে।
এবার শ্রেষ্ঠ প্রবাসী মুসলিম বিজ্ঞানী হিসেবে যৌথভাবে পুরস্কারটি জিতেছেন ড. এম জাহিদ হাসান ও ইরানের বিজ্ঞানী কামরান ওয়াফা। এর মধ্যে জাহিদ হাসান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন। তার কাজ ‘ওয়েল ফার্মিয়ন সেমিমেটাল’-এর জন্য তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
কামরান ওয়াফা অধ্যাপনা করছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সব ক্ষেত্র’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরান ওয়াফা। তাকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে তার ‘এফ-থিউরির’ জন্য।
লেবাননের মুহাম্মদ এইচ সায়েগ পুরস্কার পেয়েছেন ‘রেনাল এবং কার্ডিয়াক অ্যালোগ্রাফ্ট ফল উন্নত করতে অভিনব থেরাপি’র জন্য।
মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরীকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে ‘থেরাপিউটিক অ্যাপ্লিকেশগুলোর সঙ্গে আকর্ষণীয় অণু আবিষ্কারের’ জন্য।
পুরস্কার পাওয়া অপর মুসলিম বিজ্ঞানী হলেন ইয়াহইয়া তায়ালাতি।
মোস্তফা (সা.) পুরস্কার শিক্ষা ও গবেষণাকে উৎসাহিত করতে এবং ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্য দেশগুলোতে কর্মরত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আঞ্চলিক সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে চায়। ২০১৫ সালে এ পুরস্কার চালু হয়।