সাকিব আল হাসান তাহলে ‘লাকি চার্ম’? চাইলে এমনটি বলতেই পারেন তার সমর্থকরা। তিনি একাদশে ফেরার পর থেকেই যে কলকাতা নাইট রাইডার্সের জয়রথ ছুটছেই। ছুটতে ছুটতে এবার তো তারা চলে গেছে ফাইনালেই।
আরেকটি মিলও আছে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে কলকাতা সবশেষ ফাইনাল খেলেছিল ২০১৪ সালে। ওই দলে ছিলেন সাকিব, আছেন এবারের দলেও। মাঝে আর আইপিএলের ফাইনাল খেলা হয়নি তাদের।
এবারের আসরে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে দিল্লি ক্যাপিটালসে ৩ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা লড়াইয়ে পৌঁছে গেছে কলকাতা। সেখানে তাদের জন্য অপেক্ষায় মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। এর আগে অবশ্য রোমাঞ্চকর এক লড়াই শেষ করেছেন কলকাতার ক্রিকেটাররা।
দিল্লির বিপক্ষে সহজ করে ফেলা ম্যাচটি হঠাৎই যেন কঠিন হয়ে যায়। শেষ ২৪ বলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের দরকার ছিল কেবল ১৩ রান। ওই ম্যাচে কি না শেষ ওভারের সমীকরণ দাঁড়ায় ৭ রানে। এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিলো এই রানও নিতে পারবে না কলকাতা।
অশ্বিনের করা শেষ ওভারের প্রথম চার বল থেকে তারা নিতে পেরেছিল মাত্র ১ রান। হারায় সাকিব ও নারিনের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। কিন্তু পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে কলকাতাকে ফাইনালে নিয়ে যান রাহুল ত্রিপাঠি।
এর আগে শুরুতে ব্যাট করে কলকাতার সামনে নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রানের লক্ষ্য দেয় দিল্লি। দলটির পক্ষে ৩৯ বলে সর্বোচ্চ ৩৬ রান আসে শিখর ধাওয়ানের ব্যাট থেকে। কলকাতার পক্ষে ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন বরুণ চক্রবর্তী। ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন সাকিব।
জবাব দিতে নেমে ৯৬ রানের উদ্বোধনী জুটিতে কাজটা সহজ হয়ে যায় কলকাতার। ৪৬ বলে ৪৬ রান করে শুভমন গিল ও ৪১ বলে ৫৫ রান করে ভেঙ্কাটেশ আয়ার সাজঘরে ফেরত যান। এরপরই খেলাটা কঠিন হতে থাকে কলকাতার।
কোনো রান না করেই একে একে সাজঘরে ফেরত যান ইয়ন মরগান, দিনেশ কার্তিক, সাকিব ও নারিন। তাতে শঙ্কা বাড়ে হেরে বিদায় নেওয়ার। শেষ অবধি রাহুলের ছক্কায় উচ্ছ্বাসে ভেসেই মাঠ ছেড়েছে কলকাতা।