কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন অবমাননার যে অভিযোগ ওঠেছে সেই ঘটনার পেছনে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির হাত দেখছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তবে যারাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে, কেউ ছাড় পাবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। হিন্দুদের মন্দিরে যারা হামলা চালায় তারা দলীয় পরিচয়ের হলেও ছাড় দেওয়া হবে না হুঁশিয়ারি দেন সরকারের এই মুখপাত্র।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কেআইবি প্রাঙ্গণে শারদীয় দুর্গা পূজার মহাষ্টমী’র শুভেচ্ছা প্রদান অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দিঘিরপাড়ের একটি দুর্গাপূজার মণ্ডপে কোরআন অবমাননা ঘিরে দিনভর উত্তেজনা বিরাজ করে। কয়েকটি পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনাও ঘটে। স্থানীয় প্রশাসন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কুমিল্লার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়মিত বাহিনীর পাশাপাশি বিজিবিও মোতায়েন করা হয়েছে।
কুমিল্লার ঘটনা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যারা নষ্ট করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সারাদেশে এক উৎসবমুখর পরিবেশে সার্বজনীন দূর্গাপূজা উৎসবে পরিণত হয়েছে। সারাদেশে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার পূজামণ্ডপে উৎসব পালিত হচ্ছে, তাই একটি কুচক্রী মহলের গাত্রদাহ হচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কোনো দুর্বৃত্ত যাতে মন্দিরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি বা হামলা করতে না পারে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।
এদিকে কুমিল্লার ঘটনা নিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জরুরি এক বার্তায় বলা হয়েছে, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননা সংক্রান্ত খবর আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। খবরটি খতিয়ে দেখার জন্য ইতিমধ্যে আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ প্রদান করেছি। ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে যে কেউ এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকুক তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেউ আইন হাতে তুলে নেবেন না। সবাইকে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো।