ফ্লাইট ছাড়ার ছয় ঘণ্টা আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনার নমুনা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতগামী (ইউএই) যাত্রীসংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শ ও অনুমোদনক্রমে গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে বিমানবন্দরে ছয়টি প্রতিষ্ঠানের আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে ইউএইগামী যাত্রীদের করোনার নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়।
২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইউএইগামী যাত্রীর সংখ্যা ৩০ হাজার ৪০৮ জনে দাঁড়িয়েছে। তাদের অধিকাংশই প্রবাসী কর্মী। বাইরে করোনা পরীক্ষায় তাদের মধ্যে ২১ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বিমানবন্দরে প্রবাসী কর্মীদের নমুনা পরীক্ষা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করার ব্যবস্থা করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিন হাজার ৬১ জন আমিরাতে গেছেন। তবে চারজনের করোনা পজিটিভ আসার কারণে তারা যেতে পারেননি।
বিমানবন্দরের হেলথ ডেস্ক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
হেলথ ডেস্কের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, ফ্লাইট ছাড়ার ছয় ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে স্থাপিত আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে বাধ্যতামূলক করোনা পরীক্ষার বিধিনিষেধের কারণে সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত প্রবাসীকর্মীসহ অন্যান্য যাত্রীদের সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের একাধিক মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টায় দ্রুততম সময়ে ছয়টি প্রতিষ্ঠানের আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরি স্থাপিত হয়। শুরুরদিকে সমন্বয়হীনতার কারণে নমুনা পরীক্ষা নিয়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি হলেও বর্তমানে স্বাভাবিক ও সুষ্ঠুভাবে নমুনা পরীক্ষা চলছে। যাত্রীরা নির্ধারিত ফ্লাইটে ইউএই যাচ্ছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মুখপাত্র ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন ইউএইগামী যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে বিমানবন্দরে গিয়ে ভিড় না করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে বিমানবন্দরে গেলে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি হয়। তিনি যাত্রীদের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ও শাহজালাল বিমানবন্দরের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুসরণের অনুরোধ জানান।