বিশ্বে আইনের শাসন রয়েছে এমন ১৩৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১২৪তম। এক্ষেত্রে গত বছরের তুলনায় এক ধাপ এগোলেও সূচকের সামগ্রিক স্কোর কমে গেছে। গত বছর বৈশ্বিক আইনের শাসন সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ০.৪১, এ বছর তা কমে দাঁড়িয়েছে ০.৪০-এ।
আন্তর্জাতিক নাগরিক সমাজ সংস্থা ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্টের (ডব্লিউজেপি) ‘রুল অব ল ইনডেক্স ২০২১’-এ দক্ষিণ এশিয়ায় ছয়টি (ভুটান ও মালদ্বীপ নেই) দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ।
ডব্লিউজেপির আইনের শাসন সূচকে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে ভালো অবস্থায় রয়েছে নেপাল। ০.৫২ স্কোর নিয়ে দেশটির অবস্থান বৈশ্বিকভাবে ৭০তম। এরপর ৭৬তম শ্রীলঙ্কা ও ভারত ৭৯তম অবস্থানে। এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে তালিকার একেবারে নিচের দিকে ঠাঁই হয়েছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের। দেশটির দুটির অবস্থান যথাক্রমে ১৩০ ও ১৩৪তম।
ডব্লিউজেপির তথ্যমতে, আইনের শাসন সূচকে সর্বোচ্চ ১ পয়েন্টের মধ্যে ২০১৫ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ০.৪২। এরপর ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত স্কোর ছিল ০.৪১। তবে এ বছর তা আরও কমে ০.৪০-এ দাঁড়িয়েছে।
বৈশ্বিক আইনের শাসন সূচকে এ বছর সবার ওপরে রয়েছে ডেনমার্ক। তাদের স্কোর ০.৯০। দ্বিতীয় নরওয়ের স্কোরও ০.৯০ ও তৃতীয় ফিনল্যান্ডের ০.৮৮।
সূচকে শীর্ষ দশে থাকা অন্য দেশ গুলো হলো সুইডেন (চতুর্থ), জার্মানি (পঞ্চম), নেদারল্যান্ডস (ষষ্ঠ), নিউজিল্যান্ড (সপ্তম), লুক্সেমবার্গ (অষ্টম), অস্ট্রিয়া (নবম) এবং আয়ারল্যান্ড (দশম)।
সবচেয়ে কম স্কোর নিয়ে তালিকায় নিচের দিকে থাকা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গো, কম্বোডিয়া ও ভেনেজুয়েলা।
আইনের আটটি প্রধান নিয়মের মধ্যে ৪৪টি নির্দেশক ব্যবহার করে এই সূচক নির্ধারণ করে ডব্লিউজেপি। নিয়মগুলো হচ্ছে সরকারি ক্ষমতা, সরকারি উন্মুক্ততা, দুর্নীতি, মৌলিক অধিকার, আদেশ ও নিরাপত্তা, নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ এবং ফৌজদারি ও নাগরিক বিচার ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা।