খাদ্যে ভেজাল দেওয়া ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ: মোকতাদির চৌধুরী

মোহাম্মদ সজিবুল হুদা

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, খাদ্যে যে দেশটি সবচেয়ে বেশি ভেজাল দেয় সেই দেশটির নাম হলো বাংলদেশ। খাদ্যে ভেজাল দেওয়া ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। এরমাধ্যমে মানুষের জীবনকে হুমকির মুখে তথা মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়। তবে আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা খাদ্যে ভেজাল দিয়ে অতিমুনাফা অর্জন করে। একই সময় তারা বেহেশত যাওয়ার যাওয়ার আশায় সাজিদুর রহমান ও মোবারক উল্লাহর মাদ্রাসায় টাকা দিলে দান করে থাকেন। অথচ ঐ দুজন লোক নিজেরাই বেহেশতে যেতে পারবেন কিনা তারই খবর নাই। যারা খাদ্যে ভেজাল দেয় এবং যারা খাদ্যে ভেজালদানকারী, সুদ ও ঘুষখোরদের অর্থ দ্বারা মসজিদ মাদ্রাসা পরিচালনা করেন তাদেরকে আল্লাহ কখনো ক্ষমা করবেন না।

শনিবার (১৬ অক্টোবর) বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত ‘জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান ২০২১’ জেলা পর্যায়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

universel cardiac hospital

মোকতাদির চৌধুরী বলেন, যারা ইসলাম নিয়ে মাথা ঘামান তাদেরকে বলব, মুর্তির পায়ে কোরআন শরীফ নাকি মুর্তির মাথার উপরে কোআন শরীফ ছিল এসব নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই ; আপনি দেখেন- আপনার অন্তরে যে কোরআন শরীফ আছে সেটা ঠিক আছে কিনা। কেননা কোরআনে হাফেজ হয়ে মিথ্যা কথা বললে, সুদ ঘুষের টাকায় মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মাণ ও পরিচালনা করলে কোনো লাভ হবে না।

তিনি বলেন, একজন মৌলানা সাহেবকে দেখলাম ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)কে বিদাত আখ্যায়িত করে প্রেসকনফারেন্স করতে। কিন্তু এই প্রেস কনফারেন্স, মাইক ব্যবহার করা, সানগ্লাস ব্যবহার করা বেদাত! কেননা নবী করীম (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামগণ ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে কিছু বলেননি। তাহলে ঐ মৌলভবী সাহেবের কথা প্রেক্ষাপটে বলা যায়, যেহেতু নবী করীম (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামগণ কখনও প্রেস কনফারেন্স করেননি, মাইক ব্যবহার কিংবা সানগ্লাস ব্যবহার করেননি সেহেতু এসব ব্যবহার করাও বিদাত!

মোকতাদির চৌধুরী আরও বলেন, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) এর দিন জশনে জুলুশ করা আপনি বেদাত মনে না করলে, আপনি ঐ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকেন, কেউ আপনাকে জোর করে অংশগ্রহণ করাবেন না। কেউ যদি জশনে জুলুশ করতে গেলে লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁর উপর হামলা করতেও তো নবী করীম (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামগণ বলেন নাই। এই বাঁধা প্রদান ও হামলা করাটাও তো বেদাত।

শেয়ার করুন