করোনাভাইরাস প্রতিরোধ প্রতিষেধক হিসেবে অ্যান্টিভাইরাল ক্যাপসুল ‘মলনুপিরাভির’ নিয়ে আসছে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি মার্ক। শিগগিরই বাজারে আসছে এ ক্যাপসুল। চলতি বছরের শেষদিকে অনুমোদন দেওয়া হতে পারে। কম আয় বা দরিদ্র দেশগুলোকে এ ক্যাপসুল দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো।
উদাহরণ হিসেবে স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো বলছে, আফ্রিকার জনসংখ্যার মাত্র ৫ শতাংশকে টিকার আওতায় নেওয়া হয়েছে। যা উন্নত দেশগুলোতে ৭০ শতাংশের ওপরে। তবে, এটাও ঠিক নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে প্রচুর পরিমাণ ওষুধ পৌঁছানোর জন্য এটি (ক্যাপসুল) যথেষ্ট নয়।
অন্যদিকে, একটি বড় ক্লিনিকাল ট্রায়ালে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া করোনা রোগীর মৃত্যুর হার ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনার পরে ১১ অক্টোবর ‘মলনুপিরাভির’ জরুরি ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছিল মার্ক। এরফলে রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিক্স তৈরি ওষুধটি ডিসেম্বরের মধ্যেই অনুমোদন পেতে পারে।
রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভেন্ডি হলম্যান এক বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি আশা করছেন যে ওষুধটি মহামারি করোনা নিয়ন্ত্রণে গভীর প্রভাব ফেলতে পারবে।
মার্ক বলছে, এ বছর ১০ মিলিয়ন কোর্স ক্যাপসুল তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে, দিনে দুবার করে পাঁচদিন সেবন করা যাবে। পরের বছর আরও ২০ মিলিয়ন তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।
অনুমোদন পাওয়ার আগেই এ ক্যাপসুল সংগ্রহে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তৎপর হতে শুরু করেছে। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অনেক দেশ করোনার টিকা সংগ্রহের ব্যাপারে ধীর গতিতে কাজ করেছিল। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার তারা নতুন ক্যাপসুল অনুমোদন পাওয়ার আগেই কেনার চুক্তি করার জন্য ছুটছে।
এরই মধ্যে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্তত ৮টি দেশ বা অঞ্চল ক্যাপসুলটি কেনার চুক্তি করে ফেলেছে বা কেনার আলোচনায় করছে। এসব দেশের মধ্যে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া আছে।