দেশের নন্দিত অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা। অভিনয় দিয়ে জনপ্রিয়তার চূড়ায় পৌঁছেছেন। পেয়েছেন একুশে পদক। দায়িত্ব পালন করছেন একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে।
১৭ অক্টোবর দিবাগত রাত দেড়টায় ফেসবুক এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি৷ দীর্ঘ সেই স্ট্যাটাসে তিনি তুলে ধরেছেন অসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জয়গান।
এ কিংবদন্তী অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে এক বিশ্রী অনুভূতির মধ্যে বসবাস করছি। গ্লানি, দুঃখ, ক্ষোভ সব কিছু মিলেমিশে একাকার। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে যেন কালো একটা পর্দা পরে গেল…
ত্রিশ লক্ষ শহীদ আর তিন লক্ষ নারীর সর্বোচ্চ ত্যাগকে অসম্মানিত হতে দেখলাম। বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষ সোনার বাংলাকে ধর্মের ধুয়াধারীরা কলুসিত করতে উদগ্রীব।
কিন্তু আর না..
নতুন করে যুদ্ধ শুরু করতে হবে। দেশকে এই কুচক্রীদের হাত থেকে মুক্ত করতে হবে। যারা ষড়যন্ত্র করে আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাইছে, দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে, তাদেরকে বলছি- ‘বারে বারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান, এবার ঘুঘু তোমার বধিব পরাণ’…
বাংলাদেশ এখন পুরোটাই ডিজিটাল… তোমরা সবাই চিহ্নিত, তোমাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে, আইনের শাসন দিয়েই তোমরা শাস্তি পাবে। সহনশীল হবার দিন শেষ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ‘কাউকে ছাড় দেয়া হবে না’.. মানে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। ধর্ম যার যার উৎসব সবার, সকল ধর্মের প্রতি সমান সম্মান…
জগন্নাথ হল যখন ভেঙে পরলো, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী, সাধারণ মানুষ, ডাক্তার, নার্স, সারাদিন সারারাত সবাই এক সাথে উদ্ধার কাজ, রক্ত দেয়া, ঔষধ আনার কাজ করে গেছি। মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।
সেই বাংলাদেশ আমরা ফেরত চাই।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমরা আপনার সৈনিক…
আপনি আদেশ করেন… ৭১-এ পারিনি… ২০২১-এ দেশের জন্য প্রাণ দিতেও প্রস্তুত।’
বাংলাদেশের পতাকার পাঁচটি প্রতীক চিহ্ন ব্যবহার করে এই অভিনেত্রী শেষ বেলায় লেখেন, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয়তু শেখ হাসিনা।’