এলিট ফোর্স র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, তথ্য দিতে সেই ভয় পায় যে অপরাধী। সাধারণ মানুষ কখনো তথ্য দিতে ভয় পায় না। অপরাধীরা যদি তথ্য দেয় তাহলে হয়তো ধরা পড়ে যাবে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর জালে আটকে যাবে। সেজন্য তথ্য দিতে ভয় পায়।
মঙ্গলবার ‘র্যাবের প্রযুক্তিগত আধুনিকায়ন’ শীর্ষক কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
এর আগে তথ্য প্রযুক্তির সর্বোত্তম ও সার্বিক ব্যবহার র্যাবের সকল ব্যাটালিয়ন ও ক্যাম্প পর্যায়ে বিস্তৃত করার লক্ষ্যে মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব সদর দপ্তরে ‘র্যাবের প্রযুক্তিগত আধুনিকায়ন’ শীর্ষক কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে র্যাব ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বিস্তৃত করার উদ্যোগ নিয়েছি। এখন সার্চ দিলেই কোনো অপরাধ সম্পর্কে ও অপরাধী বা আসামি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য মিলবে। প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে ঘোষণা দিয়েছিলেন তার সুফল এখন দেশের মানুষ ভোগ করছে। র্যাব এর উৎকর্ষতা অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে।
র্যাব মমহাপরিচালক বলেন, আমরা আজকে যে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা কথা বলছি এ প্রযুক্তির মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা যে তথ্য এক জায়গায় সংরক্ষণ করবো। আমরা এই তথ্যের সহায়তা কিন্তু এর এনটিএমসি থেকে আগেও পেয়েছি। আমাদের প্রযুক্তিগত সুবিধায় অপরাধ ও অপরাধীদের তথ্য সংরক্ষণ করতে পারবো। যে তথ্যের জন্য র্যাব হেড কোয়ার্টারে বা কোনো ব্যাটালিয়নে যোগাযোগ করার প্রয়োজন নেই। অথবা এমটিএমসি’তে যোগাযোগ করার প্রয়োজন নেই। সার্চ দিলেই তথ্য পেয়ে যাবে র্যাবের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কোম্পানি (সিপিসি) কর্মকর্তারাও। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও অপারেশনাল কার্যক্রম দ্রুত সময়ের মধ্যে করতে পারবো। এর জন্য আমরা আমাদের নিজস্ব একটি তথ্যভাণ্ডার গড়ে তুলছি।