বিশ্বনবীর (সা.) শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয়

সম্পাদকীয়

ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। প্রতীকী ছবি

বিশ্ব জগতে কালের আবর্তে আবার এসেছে রবিউল আউয়াল। ২০ অক্টোবর (১২ রবিউল আউয়াল) বুধবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। এদিন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম এবং ওফাত দিবস। দিনটি সমগ্র বিশ্বে মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পবিত্র স্মৃতিবিজড়িত ১২ রবিউল আউয়াল উপলক্ষে আমি বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ ও দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি।

রাসুলুল্লাহ (সা.) সমগ্র মানবজাতির জন্য এমনকি গোটা বিশ্বের জন্য রহমত ও আশীর্বাদ হিসেবে ধরাধামে আবির্ভূত হন। এ মর্মে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ঘোষণা করেন, ‘আর আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরণ করেছি।’ আল-কোরআনে আল্লাহতায়ালা আরও ইরশাদ করেন, ‘হে রাসুল! আমি আপনাকে বিশ্বের সমগ্র মানুষের সংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে প্রেরণ করেছি।’

মহানবী (সা.) বিশ্বকে সভ্যতা ও সংস্কৃতির শিক্ষা দিয়েছেন। অর্থনীতি, রাষ্ট্রনীতি, সমাজনীতি, পররাষ্ট্রনীতিসহ মানবজীবন পরিচালনার সর্বক্ষেত্রে যে নীতিমালা তিনি দিয়েছেন তা সর্বকালের মানুষের জন্য অনন্য ভাস্বর ও সবচেয়ে বেশি কার্যকর। আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাথে নবী মোস্তফা (সা.) উপস্থাপিত ইসলামী বিধানের যতো মিল রয়েছে তা অন্য কোনো মতাদর্শের সঙ্গে নেই। তিনি সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নারীর মর্যাদা ও অধিকার, শ্রমের মর্যাদা, মনিবের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে স্পষ্ট ভাষায় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। বিদায় হজের ভাষণ মানবজাতির জন্য চিরকালীন দিশারী হয়ে থাকবে।

করোনা মহামারিসহ বর্তমান সমস্যাসংকুল বিশ্বে রাসুলুল্লাহর (সা.) অনুপম আদর্শ ও সার্বজনীন শিক্ষা অনুসরণই বহু প্রত্যাশিত শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করতে পারে। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আমাদের সবার মনে সহনশীলতা, সংযম, হৃদ্যতা, সম্প্রীতি, পারস্পরিক ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা সৃষ্টিতে সহায়ক হোক।

শেয়ার করুন