ব্যাংকের এটিএম (অটোমেটেড টেলার মেশিন) সেবার ফি বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে এক ব্যাংকের গ্রাহক অন্য ব্যাংকের এটিএম সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে এই বাড়তি ফি দিতে হবে। নিজ ব্যাংকের এটিএম সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে বাড়তি ফি দিতে হবে না। সেক্ষেত্রে ফি আগের মতোই বহাল থাকবে।
এ বিষয়ে সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। সেটি বাণিজ্যিক ব্যাংক, মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার ও পেমেন্ট সিস্টেমস অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। বর্ধিত ফি আজ মঙ্গলবার থেকেই কার্যকর হবে। তবে ব্যাংকগুলো তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী এই ফি আদায় করবে। এটিএম সেবা থেকে নগদ অর্থ উত্তোলন ও নগদ অর্থ জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে ফি বাড়ানো হয়েছে। অন্যান্য সেবার ক্ষেত্রে আগের ফি অপরিবর্তিত রয়েছে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী এক ব্যাংকের গ্রাহক অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে নগদ টাকা তুললে প্রতি লেনদেনের জন্য সর্বোচ্চ ২০ টাকা ফি নিতে পারবে। আগে এই ফি ছিল ১৫ টাকা। নগদ অর্থ জমার ক্ষেত্রে প্রতি লেনদেনে এখন সর্বোচ্চ ২০ টাকা ফি নিতে পারবে। আগে এই ফি ছিল ১৫ টাকা। এই দুই ধরনের সেবার ক্ষেত্রে ফি ৫ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। তবে কোনো ব্যাংক ইচ্ছে করলে এর চেয়ে কম ফি নিতে পারবে। এতে কোনো বাধা নেই।
এর বাইরে এটিএম থেকে গ্রাহকের হিসাবের জমা টাকার ব্যালেন্স বা স্থিতি জানতে সর্বোচ্চ ৫ টাকা, মিনি স্টেটমেন্ট বা ছোট হিসাব বিবরণী নিতে ৫ টাকা, তহবিল স্থানান্তরের জন্য ১০ টাকা ফি আদায় করা যাবে। তবে নগদ লেনদেনের ক্ষেত্রে কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক সর্বোচ্চ ১৫ টাকা আদায় করতে পারবে। দেশের ভেতরে পস বা পয়েন্ট অব সেল ব্যবহার করে নগদ অর্থ উত্তোলন করলে প্রতি লেনদেনে সর্বোচ্চ ২০ টাকা ফি আদায় করা যাবে। ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করে অর্থ স্থানান্তর করলে প্রতি লেনদেনে সর্বোচ্চ ১০ টাকা ফি আদায় করা যাবে।