আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথমপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইতিহাস গড়ল নামিবিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল। ডাচদের বিপক্ষে ৬ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো জয় তুলে নিল নবাগত এই দলটি। আর সেই সঙ্গে বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখল ইরাসমাস বাহিনী।
নেদারল্যান্ডসের দেওয়া ১৬৫ রানে জবাবে ব্যাট করতে নেমে নেমে দুই ওপেনারের সুবাদে দুর্দান্ত পায় নামিবিয়া। আউট হওয়ার পূর্বে বার্ড ১৯ এবং ১৫ রান করেন গ্রিন। দ্বিতীয় উইকেটে খেলতে নেমে ১১ রান করেন ক্রেইগ উইলিয়ামস।
৮.২ ওভারে ৩ উইকেটে ৫২ রান তুলে কিছুটা চাপেই ছিল নামিবিয়া। কিন্তু চতুর্থ উইকেট জুটিতে অধিনায়ক ইরাসমাসকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ ব্যাট করেন অলরাউন্ডার ডেভিড ওয়াইস। এ সময় মাত্র ৫৮ বলে ৯৩ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরেই পৌঁছে দেন। ২২ বলে ৩২ রানে আউট হন অধিনায়ক ইরাসমাস।
অন্যদিকে ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করার পর জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন সাবেক প্রোটিয়া অলরাউন্ডার ডেভিড ওয়াইস। অপরাজিত থাকেন ৬৬ রানে। ৪০ বলে খেলা এই ইনিংসটি ৪টি চার এবং ৫টি ছয়ে সাজানো।
এর আগে ম্যাচের শুরুতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে নেদারল্যান্ডস। ওপেনিং জুটিতে তোলে ৪২ রান। ব্যক্তিগত ১৭ রানে ফেরেন ওপেনার স্টেফেন মাইবার্গ। দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৬ রান করেন ভ্যান ডার মারউই।
তৃতীয় উইকেট জুটি ব্যাট হাতে দুর্দান্ত খেলে যাচ্ছেন ম্যাক্স ওডুয়েড এবং কলিন অ্যাকারম্যান। আর তাতেই বড় সংগ্রহের দিকে এগোচ্ছে ডাচরা। এ সময় দুজন মিলে তুলে ৮২ রান। ৩২ বলে ৩৫ রান তুলে আউট হন কলিন অ্যাকারম্যান। তার ইনিংসটি একটি ছয় এবং চার সাজানো।
অন্যদিকে ব্যাট হাতে আপনতালে খেলতে থাকেন ওডুয়েড। শেষ পর্যন্ত খেলে গিয়ে তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশত রান। ইনিংসের শেষ ওভারের চতুর্থ বলে রানআউট হওয়ার আগে তুলেন ৭০ রান। মাত্র ৫৬ বলে খেলা তার এই ইনিংসটি ৫টি চার এবং একটি চয়ে সাজানো।
শেষদিকে মাত্র ১১ বল খেলে ২০ রান তুলেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান স্কট এডওয়ার্ডস। এছাড়া ২ রানে ক্রিজ ছাড়েন ভ্যান বিক।
এদিকে নামিবিয়ার পক্ষে ৩৬ রানের খরচায় সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন জ্যান ফ্রাইলিঙ্ক। এছাড়া একটি উইকেট পেয়েছেন ডেভিড ওয়াইস।