শারজায় অনুষ্ঠিত প্রথমপর্বের শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডস দলকে ৪৪ রানে অলআউট করার পর ৮ উইকেট এবং ৭৭ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। আর এই জয়ের মাধ্যমে গ্রুপসেরা হয়ে মূলপর্বে উঠছে লঙ্কানরা। আর সুপার টুয়েলভের খেলায় বাংলাদেশের গ্রুপেই থাকছে দাসুন শানাকা বাহিনী।
নেদারল্যান্ড নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ে আগেই। শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পায় লজ্জার রেকর্ড। সবকটি উইকেট হারিয়ে মাত্র ৪৪ রানেই অলআউট হয়ে ডাচরা।
এটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে কোনো দলের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ইনিংস। প্রথমটিই একই দলের একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে। ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কা নেদারল্যান্ডসকে অলআউট করে দিয়েছিল মাত্র ৩৯ রানে।
শারজায় অনুষ্ঠিত ম্যাচের শুরুতে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্তে নেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। দলনেতা সিদ্ধান্ত যে যথাযোগ্যই ছিল, বল হাতে সেটারই প্রমাণ দেন লঙ্কান বোলাররা। নেদারল্যান্ডসের ১১ জন ব্যাটসম্যানের মধ্যে দশের বেশি স্কোর সংগ্রহ করতে পেরেছে মাত্র একজন। দলের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১১ রান করেন কলিন অ্যাকারম্যান।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ রানের ইনিংসটি খেলেন বেন কুপার। এছাড়া ৮ রানে স্কট এডওয়ার্ডস, ৫ রানে স্টিফেন মাইবার্গ, ২ রানে ম্যাক্স ওডুয়েড, ২ রানে পিটার সিলার এবং শূন্যরানে যথাক্রমে আউট হন ভ্যান মারউই, বেন্ডন গ্লোভার এবং ভ্যান মাকেরেন। আর ১ রানে অপরাজিত থাকেন ফ্রেড ক্লাসেন।
এদিকে শ্রীলঙ্কার পক্ষে তিনটি করে ওভার করে ৭ রানের খরচায় লাহিরু কুমারা এবং ৯ রানের খরচায় ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন। এছাড়া মাত্র ৩ রানে দুটি উইকেট নেন মহেশ থিকসেনা এবং ১৩ রানের খরচায় একটি উইকেট নেন দুশমান্থ চামিরা।
মাত্র ৪৫ রান তাড়া করতে গিয়ে তেমন বেগ পেতে হয়নি শ্রীলঙ্কার। এরপরও ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে শূন্যরানে সাজঘরে ফিরেছেন ওপেনার পাথুম নিশানকা। দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নেমে ৭ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন চ্যারিথ আশালাঙ্কাও। এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে অভিষ্কা ফার্নান্দোকে সঙ্গে জয় তুলে নেন কুশল পেরেরা। ৩৩ রানে পেরেরা এবং ৩ রানে ফার্নান্দো অপরাজিত থাকেন।