যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্সসহ দশটি দেশের রাষ্ট্রদূতদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এই দশজন রাষ্ট্রদূত তুরস্কে আলোচিত ব্যক্তিত্ব ওসমান কাভালার মুক্তি দাবি করে বিবৃতি দিয়েছিলেন।
এ সপ্তাহে যৌথভাবে এই বিবৃতি দেয় আমেরিকা, কানাডা, ফ্রান্স, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, জার্মানি নেদারল্যান্ডস. নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে এবং সুইডেন। তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই দশ জন বিদেশী রাষ্ট্রদূতকে তলব করে তাদের বিবৃতি নিয়ে অসন্তোষ জানায়। খবর বিবিসির
সরকার বিরোধী বিক্ষোভে অর্থ জোগানো এবং ২০১৬ সালে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়ার অভিযোগে কাভালা ২০১৭ সাল থেকে কারাগারে রয়েছেন। তিনি দোষী সাব্যস্ত হননি।
ইউরোপের প্রধান মানবাধিকার নজরদারি সংস্থা কাউন্সিল অফ ইউরোপ তুরস্ককে দেয়া এক চূড়ান্ত সতর্ক বার্তায় বিচারের মুখোমুখি না করা পর্যন্ত কাভালাকে মুক্তি দেবার দাবি জানায়।
শনিবার এরদোয়ান এসকিসেহির শহরে জনতার উদ্দেশ্যে এক ভাষণের সময় বলেন, রাষ্ট্রদূতরা তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এসে নির্দেশ জারির সাহস দেখাতে পারেন না। আমি আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছি এবং বলেছি কী করতে হবে। এই দশ জন রাষ্ট্রদূতকে অবিলম্বে অবাঞ্চিত ঘোষণা করতে হবে। আপনি অবিলম্বে ব্যবস্থা নিন।
তবে বাস্তবে কী হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তুরস্কের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, এরদোয়ান বলেছেন রাষ্ট্রদূতদের তুরস্কের বাস্তবতা বুঝতে হবে, নয়ত তুরস্ক ছেড়ে যেতে হবে। রাষ্ট্রদূতদের দিক থেকে এখনও পর্যন্ত সেরকম কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে নরওয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রয়টার্সকে বলেছে তার রাষ্ট্রদূত ‘এমন কিছু করেননি যে কারণে তাকে বহিষ্কার করতে হবে’।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি দশ জন বিদেশি রাষ্ট্রদূতের কূটনৈতিক মর্যাদা ও অধিকার প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার রাষ্ট্রদূতদের তলব করে এবং কাভালা ইস্যুতে তাদের দেয়া বিবৃতিকে ‘দায়িত্বহীন’ বলে প্রতিবাদ জানায়।
রাষ্ট্রদূতদের বিবৃতিতে ওসমান কাভালাকে বিচারের মুখোমুখি করতে ‘অব্যাহত বিলম্বের’ সমালোচনা করা হয় এবং বলা হয় এই দীর্ঘসূত্রিতা ‘গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং তুরস্কের বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি করছে’।