ফর্মের ধারেকাছেও নেই লিটন দাস। তার ব্যাট হাসছে না দীর্ঘ সময় ধরেই। সেই দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকেই রানে নেই তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচেও ফর্মে ফেরেননি। বিশ্বকাপ মঞ্চের প্রথম রাউণ্ডের পর সুপার টুয়েলভেও ব্যাটিং ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন এই ওপেনার।
শ্রীলংকা ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই প্রস্তুতি ম্যাচে ১৬ ও ১ রান করেন লিটন। প্রথম রাউন্ডের তিন ম্যাচে তার সংগ্রহ যথাক্রমে ৫, ৬ ও ২৯ রান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুপার টুয়েলভের ম্যাচে করেন ১৬ বলে ১৬ রান।
তবে এ মুহূর্তে লিটনের ব্যাটিং ব্যর্থতাকেও ছাপিয়ে গেছে সুপার টুয়েলভের ম্যাচে তার দুটি ক্যাচ ফেলে দেয়ার প্রসঙ্গ। যা নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটমহলে চলছে শোরগোল। পরবর্তী ম্যাচে লিটনকে একাদশে না রাখারও দাবি উঠেছে।
রোববার শ্রীলংকার দুই তারকা রাজাপাকসে আর আসালাঙ্কার ক্যাচ মিস করে তীব্র সমালোচিত হচ্ছেন লিটন। আর সেই সমালোচনার পালে জোর হাওয়া বইয়ে দিলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম। তিনি প্রশ্ন রেখেছেন, বাংলাদেশ একাদশে লিটন দাসকে রাখা হচ্ছে কোন কারণে?
রোববার রাতে ফখর-ই-আলমের সঞ্চালনায় ‘দ্য প্যাভিলিয়ন’ নামে এক অনুষ্ঠানে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের ১০ উইকেটে জয় নিয়ে আলোচনা হয়।
সেখানে শ্রীলংকার বিপক্ষে ১৭১ রান করেও বাংলাদেশের হেরে যাওয়া নিয়ে সঞ্চালক কথা বললে এ প্রশ্ন রাখেন ওয়াসিম।
ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘লিটন দাসকে তো প্রস্তুতি ম্যাচ থেকেই ঘুমিয়ে আছে বলে মনে হচ্ছে। কোয়ালিফাইং রাউন্ডে সে খেলেছে। সেখানেও সে রান করতে পারেনি, ভালো ফিল্ডিংও সে করছে না। আমি জানি না সে দলে কেনো আছে।’
লিটনের সমালোচনার পর অবশ্য বাংলাদেশ দলের ভূয়সী প্রশংসা করেন এই পাক কিংবদন্তি।
বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশ খুব ভালো খেলেছে। শারজাহর উইকেটে তারা ১৭০ এর বেশি রান করেছে। শারজাহর উইকেট লো স্কোরিং, আইপিএলেও লো স্কোরিং হয়েছে। এরপর তারা শ্রীলংকার ৪ উইকেট ফেলেও দিয়েছিল। ৮০ এর মধ্যে ৪ উইকেট ফেলে দেওয়ার পর আসালাঙ্কা ও রাজাপাকশে থামেনি, শট খেলে গেছে। তখন না মেরে যদি ব্লক করত তাহলে দল প্রেশারে এসে যেতো। তবে তারা দুজন তা হতে দেননি। প্রতিপক্ষের ওপর চাপ বাড়িয়েছেন, দারুণ খেলেছেন তারা।’