রোহিঙ্গা সংকট উত্তরণে প্রত্যাবাসনের পথ সুগম করতে হবে

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.)

রোহিঙ্গা
ফাইল ছবি

কক্সবাজার ক্যাম্পে ২২ অক্টোবর দিবাগত রাতে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর গোলাগুলিতে সাতজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। এর আগেও বহুবার গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে এবং তাতে অনেকেই নিহত-আহত হয়েছেন। অনবরত অস্ত্রবাজি চলছে, কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। এরা যেন লাগামহীন ও বেপরোয়া। কক্সবাজারে এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তরা কী করছেন তার কিছু ফল দেখা যাচ্ছে না। ক্যাম্পের সাধারণ নিরীহ রোহিঙ্গারা এবং নিহত পরিবারের সদস্যরা বলছেন, সন্ত্রাসী সংগঠন আল ইয়াকিন এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। কিছুদিন আগে রোহিঙ্গা নেতা মহিব উল্লাহকে এরাই ক্যাম্পের ভেতরে গুলি করে হত্যা করেছে। সবার মুখে এখন একটাই কথা, রোহিঙ্গাদের ভেতর থেকে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার পক্ষে যাঁরাই কাজ করছেন এবং যাঁরা নিজ জন্মভূমিতে ফিরে যেতে চান তাঁরা সবাই এখন সন্ত্রাসী বাহিনী আল ইয়াকিন ওরফে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) টার্গেট। অর্থাৎ আরসা বাহিনী প্রত্যাবাসনের বিরোধী। তাহলে এরা কী চায় এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। এই আরসা বাহিনীর ফাদার-মাদার হিসেবে যারা কাজ করছে তাদের দিকে তাকালেই বোঝা যাবে এরা কী চায়।

আরসা সৃষ্টির বহু আগে থেকেই রোহিঙ্গাদের ভেতর থেকে তৈরি হওয়া কিছু সশস্ত্র সংগঠন রাখাইনে তৎপর ছিল। তার মধ্যে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (RSO), আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (ARNO) এবং আরাকান লিবারেশন ফ্রন্টের (ALF) নাম উল্লেখযোগ্য। ১৯৪৮ সাল থেকে রোহিঙ্গাদের নেতৃত্বে থাকা স্থানীয় লোকজন মূলস্রোতের নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে সুসংগঠিত হওয়ার পরিবর্তে সশস্ত্র পন্থা বেছে নেওয়ায় আজ তারা সব হারিয়েছে। ২০১৭ সালের বহু আগে থেকেই সৌদি আরবে পাঁচ লাখ ও পাকিস্তানে দুই লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গা স্থায়ীভাবে বসবাস করছে (ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ, আরাকানে মুসলমানদের ইতিহাস, পৃ. ২৭)। রোহিঙ্গা বংশোদ্ভূত পাকিস্তানি নাগরিক আতাউল্লাহ আম্ম্নার জুনুনীর নেতৃত্বে সৌদি আরবে অবস্থানরত কিছু রোহিঙ্গাকে নিয়ে ২০১২ সালে গঠিত হয় আরসা সন্ত্রাসী বাহিনী (ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ প্রতিবেদন ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬) রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ ২০১৭ সালের আগেই পাওয়া যায়। ২০১৬ সালের ১২ মে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বরত আনসার ক্যাম্পের ওপর রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আক্রমণ চালায়। তাতে ১১টি রাইফেল ও ৫৯০ রাউন্ড গুলি লুট হয় এবং আনসার কমান্ডার আলী হোসেন নিহত হন। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ পুলিশ ওই আক্রমণকারী দলের নেতা ওমর ফারুককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়, যিনি পাকিস্তানি নাগরিক ও পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্য। বিশ্বব্যাপী সবাই জানেন লস্কর-ই-তৈয়বার প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষক পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। ‘পাকিস্তান বিটুইন মস্ক অ্যান্ড মিলিটারি’ গ্রন্থের ১৯১ পৃষ্ঠায় হুসেন হাক্কানি উল্লেখ করেছেন, ১৯৮৪ সালে আইএসআইয়ের তত্ত্বাবধানে করাচিতে অফিস স্থান করে রোহিঙ্গা মুসলিম লিবারেশন ফ্রন্ট। ঢাকায় পাকিস্তানি দূতাবাসের দুজন কর্মকর্তা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে ২০১৫ সালে বহিষ্কৃত হন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড আক্রমণে পাকিস্তানের দুজন সন্ত্রাসী ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে এখন ঢাকার জেলে আছে। এখন প্রশ্ন হলো, পাকিস্তান রাষ্ট্রীয়ভাবে কেন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। এই প্রশ্নের উত্তরের মধ্যেই নিহিত আছে কেন রোহিঙ্গা সংকট আজকে প্রায় অসমাধানযোগ্য হয়ে উঠেছে এবং কেনই বা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী সংগঠন আরসা প্রত্যাবাসনবিরোধী তৎপরতা চালাচ্ছে।

আরসা সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য তুলে ধরি। ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর তারা মিয়ানমারের তিনটি পুলিশ ফাঁড়ির ওপর আক্রমণ চালায়। ৬২টি অস্ত্র ও ১০ হাজার গুলি লুট করে নেয় তারা এবং ৯ জন মিয়ানমার পুলিশকে হত্যা করে। দুই দিন পর ইউটিউবের মাধ্যমে আরসা এই আক্রমণের দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়। ব্রাসেলসভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর তাদের প্রতিবেদনের শিরোনাম করে—

Myanmar : A new Muslim Insurgency in Rakhine State. ২০১৭ সালের ২০ জুন এশিয়া টাইমস পত্রিকার একটা বড় প্রবন্ধের শিরোনাম হয়—Rohingya Insurgency takes Lethal form in Myanmar. ২০১৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকায় প্রশান্ত ঝাঁয়ের প্রবন্ধের শিরোনাম ছিল—Laskher militants inciting Rohingya Refugees, India warns Myanmar. সুতরাং ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের এক বছর আগে থেকেই আলামত দেখা যেতে শুরু করে রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ বিপজ্জনক কিছু একটা ঘটে যেতে পারে। এ রকম একটা কিছু ঘটলে সেটা বাংলাদেশের জন্য যে বড় বিপদ ডেকে আনবে, সেটা তখন বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ বুঝেছিল কি না জানি না। আমি নিজেও সহযোগী একটা দৈনিকে ২০১৬ সালের জুন মাসে এক প্রবন্ধে লিখেছিলাম, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বড় কিছু ঘটতে পারে এবং সে রকম হলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়বে। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের একটি বড় পক্ষের সুধীসমাজ ও মিডিয়া সেমিনার করে সমস্বরে সবাই বললেন, কফি আনানের প্রতিবেদন একটা ভাঁওতাবাজি, এটাকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে। আরসা বাহিনী মিয়ানমারের ৩০টি পুলিশ ফাঁড়ির ওপর আক্রমণ চালায় কফি আনানের প্রতিবেদন নস্যাৎ করার জন্য। দুইয়ে দুইয়ে অবশ্যই চার হয়। বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বুঝতে হলে এসব মিলিয়ে দেখতে হবে, গভীরে যেতে হবে। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টে আরসা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক মিয়ানমারের ৩০টি পুলিশ ফাঁড়ির ওপর একযোগে আক্রমণের বিস্তারিত পাওয়া যায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ২০১৮ সালের ১০ মে ও ২৭ জুনের প্রতিবেদনে।

আরসার নেতৃত্ব এবং তাদের পৃষ্ঠপোষক, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বরতা ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের ইতিহাস জানেন এবং সামরিক যুদ্ধবিদ্যা সম্পর্কে যাঁদের সামান্য ধারণা আছে তাঁরা সবাই বোঝেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সামনে আরসা পিপীলিকা মাত্র। এর মাধ্যমে নিরীহ রোহিঙ্গারা গণহত্যার শিকার হওয়া ছাড়া কোনো লাভই তাদের হবে না। সুতরাং ২০১৭ সালে আরসা ও তাদের মূল পৃষ্ঠপোষক চালিকাশক্তির চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল দীর্ঘদিনের রোহিঙ্গা সংকটের সঙ্গে বাংলাদেশকে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ফেলা। তাতে রোহিঙ্গাদের সব কর্ম-অপকর্মে সমর্থন দিতে বাংলাদেশ বাধ্য হবে। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নষ্ট হবে, BCIM এবং BIMSTEC মুখ থুবড়ে পড়বে। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের জন্য আসা অস্ত্রের একটা অংশ চলে আসবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ জঙ্গি সংগঠনগুলোর কাছে। বাংলাদেশের ইসলামিস্ট উগ্রপন্থী রাজনৈতিক পক্ষগুলো রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য মায়াকান্নার অজুহাতে ধর্মীয় উন্মাদনা ছড়ানোর অজুহাত পাবে। এই যে কথাগুলো আমি বলছি, তার অনেক কিছুই কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে।

BCIM এবং BIMSTEC-এর অগ্রগতি নেই বললেই চলে। জননিরাপত্তা শুধু নয়, বাংলাদেশের ভূখণ্ডগত নিরাপত্তার জন্য রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা হুমকি সৃষ্টি করছে। রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত যা ঘটেছে তার পরিণতিতে বাংলাদেশ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। অন্য কোনো ইস্যুতে তো মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বন্দ্ব-সংঘাত নেই। আপসে শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের সঙ্গে মিয়ানমার সমুদ্র সীমানার মীমাংসা করেছে।

BCIM এবং BIMSTEC সচল ও ভাইব্রান্ট হলে বাংলাদেশ বিপুলভাবে লাভবান হবে, আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান শক্তিশালী হবে।

সংকটটি মিয়ানমারের সঙ্গে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের। এখানে বাংলাদেশের জন্য কোনো পক্ষ অবলম্বন করা হবে চরম আত্মঘাতী। রোহিঙ্গাদের অবস্থান, পরিস্থিতি, দাবিদাওয়া ও কার্যকলাপের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বার্থের সামান্য কোনো মিল নেই। বরং রোহিঙ্গাদের জন্যই আমাদের রাষ্ট্রীয় স্বার্থ বিঘ্নিত এবং মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হচ্ছে। তাহলে কেন রোহিঙ্গাদের অপকর্ম সহ্য করা হবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অসমর্থনযোগ্য কাজে রোহিঙ্গাদের সমর্থন দেওয়ার কোনো কারণ থাকতে পারে না। মিয়ানমার সেনাবাহিনী নিজ জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়ে আন্তর্জাতিক ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ অত্যন্ত শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছে, ভূমিকা রেখেছে। রোহিঙ্গাদের জন্য ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে বাংলাদেশ কাজ করছে। কিন্তু আরসাসহ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা এখন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সংকট সমাধানের একমাত্র পথ প্রত্যাবাসনের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিয়ে মাঠে নেমেছে। সুতরাং এদের আর কোনো ছাড় দেওয়া যায় না।

আরসা বাহিনী কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রবাজি তৎপরতায় জড়িত থাকার ফলে মিয়ানমার সংগত কারণেই তাদের মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধীদের গ্রেপ্তারের জন্য বাংলাদেশের কাছে দাবি জানাবে। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা মূলত রাখাইনের উত্তরে গহিন জঙ্গল ও পাহাড়ি এলাকায় অবস্থান ও চলাফেরা করে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ধাওয়া খেয়ে কখনো কখনো বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী পাহাড়ি দুর্গম এলাকায় ঢুকে পড়ে। সুতরাং সীমান্তে মিয়ানমার-বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে সব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মূলোৎপাটনের উদ্যোগ নিলে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক আস্থার জায়গা সম্প্রসারিত হবে। সন্ত্রাসীরা ধরা পড়বে, প্রত্যাবাসনের পথ সুগম হবে। কক্সবাজারের ক্যাম্পের ভেতরে অস্ত্র উদ্ধারে কম্বিং অপারেশন পরিচালনা জরুরি হয়ে পড়েছে। প্রতিটি ক্যাম্পের চারপাশে অভেদ্য কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করা এখন অপরিহার্য, যাতে ক্যাম্পের ভেতরে যাওয়া-আসার ওপর পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা যায়।

ইদানীং দু-একজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, রোহিঙ্গা সমস্যার কোনো শান্তিপূর্ণ সমাধান নেই। তাহলে সমাধানের পথটা কী সেটি কিন্তু তারা বলতে পারছেন না। চার্চিল একবার তাঁর বিরোধীদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘They are rady to make great sacrifies for their opinions, but they have no opinions.’ সুতরাং শান্তিপূর্ণ পন্থায় সমাধান হবে না—এ রকম বিভ্রান্তিমূলক কাথাবার্তা যাঁরা বলছেন, তাঁদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রবল সন্দেহ হয়। তাঁরা আরসা ও আরসার পৃষ্ঠপোষকদের ভাষায় কথা বলছেন, যা বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। ২০১০ সালে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য আমেরিকার ঘোষিত নতুন সামরিক নীতিতে চীন ঠেকাও কৌশলের পাল্টা হিসেবে চীনের অবস্থান এবং মিয়ানমারকে যেভাবে বলয়ভুক্ত করেছে তাতে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে রোহিঙ্গাসহ সব সশস্ত্র গ্রুপের জন্য সশস্ত্র পন্থায় সামান্যতম দাবি আদায়ের পথ স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। ২০২৩ সালের নির্বাচন সামনে রেখে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা রোহিঙ্গা ও সাম্প্রদায়িক ইস্যুকে কেন্দ্র করে সরকারকে সংকটে ফেলার চেষ্টা করছে। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের সমূলে বিতাড়িত করতে পারলে ষড়যন্ত্রের অন্তত একটি পথ বন্ধ হবে।

লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক

শেয়ার করুন