বিশ্বকাপে এই প্রথম খেলতে আসা আফ্রিকান দেশ নামিবিয়ার। প্রথম আসরেই বাজিমাত করে চলছে দলটি। বাছাই পর্বে নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ডের মত দলকে হারিয়ে সুপার টুয়েভলে জায়গা করে নিলো তারা।
সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজ মাঠে নেমেছে নামিবিয়ানরা। জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে তারা। বাছাই পর্বে বাংলাদেশকে হারানো স্কটল্যান্ডকে পেয়ে আজ ৪ উইকেটের অনায়াস জয় তুলে নিলো নামিবিয়ানরা। সে সঙ্গে গড়লো ইতিহাস। আইসিসি নন টেস্ট প্লেইং দেশ হিসেবে সুপার টুয়েলভে খেলতে এসেই জয় পাওয়া প্রথম দলে পরিণত হলো নামিবিয়া। শুধু তাই নয়, নন টেস্ট প্লেইং দেশ হিসেবে টানা তিনটি ম্যাচ জিতলো তারা।
স্কটল্যান্ডের ছুঁড়ে দেয়া ১০৯ রনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অবশ্য বেশ দেখেশুনে, ধীরে-সুস্থে খেলেছে নামিবিয়া। যার ফলশ্রুতিতে ৫ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জয় এলো তাদের।
সুপার টুয়েলভে যখন বাংলাদেশ একটি জয়ের প্রত্যাশায় বছরের পর বছর ধরে অপেক্ষা করছিল, তখন নামিবিয়া প্রথমবার এসেই বাজিমাত করে চলেছে।
স্কটল্যান্ডকে মাত্র ১০৯ রানে বেধে রাখার পরেই নামিবিয়ার জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়। সে লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটাও দারুণ করে তারা। দুই ওপেনার ক্রেইগ উইলিয়ামস এবং মিকায়েল ফন লিনগান মিলে গড়েন ২৮ রানের জুটি।
১৮ রান করে আউট হন লিনগান। ২৩ রান করে আউট হন ক্রেইগ উইলিয়াম। উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর অবশ্য নামিবিয়ার ওপর চড়াও হয়ে বসে স্কটিশ বোলাররা। এ সময় দ্রুত নামিবিয়ার ৩টি উইকেট নিয়ে নেয় তারা।
এ সময় ৯ রানে জ্যান গ্রিন, ৪ রানে অধিনায়ক গেরহার্ড ইরাসমাস আউট হন। দ্রুত কয়েকটি উইকেট পড়ার কারণে নামিবিয়া কিছুটা চাপে পড়ে যায়।
দলীয় ৬৭ রানের মাথায় ৪র্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রেইগ উইলিয়াম আউট হওয়ার পর হাল ধরেন ডেভিড ওয়াইজ এবং জেজে স্মিট। এ দু’জন মিলে দলনে পৌঁছে দেন ১০২ রানে। নিশ্চিত জয়ের মুখে দাঁড়িয়ে আউট হয়ে যান ওয়াইজ। ১৪ বলে ১৬ রান করেন তিনি।
জেজে স্মিট ছিলেন ৩২ রানে অপরাজিত। ইয়ান ফ্রাইলিঙ্ক মাঠে নেমে ৪টি বল খেলে বিদায় নেন ২ রানে। শেষ পর্যন্ত ৫ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নামিবিয়া।
স্কটল্যান্ডের হয়ে মাইকেল লিস্ক ২ ওভারে ১২ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন ব্রাড হুইল, সাফইয়ান শরিফ, ক্রিস গ্রিভস এবং মার্ক ওয়াট।