সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে কে কোন দলের বা মতের কিংবা কোথায় ভোট দেন সেটা বিবেচনা করা হয় না বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, এটিই আওয়ামী লীগের নীতি। এ কারণে দেশের প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে তথ্যমন্ত্রীর ঐচ্ছিক তহবিলের অনুদান, ক্রীড়া সামগ্রী এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের ক্যানসার ও দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীদের অনুদানের চেক ও স্কিম গ্রহীতাদের মাঝে সুদমুক্ত ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষের উন্নয়ন হয়েছে। দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠির মাঝে সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা কে কোন দলের, কে কোন মতের, কে কোথায় ভোট দেন, তা কখনো বিবেচনা করি না।
তিনি বলেন, যিনি সত্যিকার অর্থে রোগাক্রান্ত এবং দুঃস্থ তাকেই সরকারের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আমার ব্যক্তিগত ঐচ্ছিক তহবিল থেকেও সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। সেটির ক্ষেত্রেও কে কোন দলের তা কখনো দেখিনি। এটিই হচ্ছে আমাদের দলের নীতি। এসমস্ত কারণে আমাদের দেশের প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে।
তবে এ বিষয়টি অনেকে স্বীকার করতে চান না বলে দুঃখ প্রকাশ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য এটি অনেকে স্বীকার করতে চান না। তাই যারা এই ধরনের সহায়তা পাচ্ছেন তাদের অনুরোধ জানাবো, আপনারা যে সহায়তা পাচ্ছেন তা যেনো সবার মাঝে প্রচার করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইফতেখার ইউনুসের সভাপতিতে এতে বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, সমাজসেবা কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাছান, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আকতার হোসেন খাঁন, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এমরুল করিম রাশেদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জসিম উদ্দিন তালুকদার, রাঙ্গুনিয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জিগারুল ইসলাম জিগার।
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার মানুষের কল্যাণের জন্য নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন। সেই পদক্ষেপের আওতায় প্রধানমন্ত্রী সমাজকল্যাণ মন্ত্রাণালয়ের মাধ্যমে যারা ক্যানসারসহ নানা জঠিল রোগে আক্রান্ত তাদেরকে সহায়তা দিয়ে আসছে। এই ধরনের সহায়তা অতিতে কোনো সরকারের সময় করা হয়নি। এতো ব্যাপক সংখ্যক মানুষকে সহায়তা কেউ আগে দেইনি।
খেলাধুলার উন্নয়নের জন্যও প্রধানমন্ত্রী নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ক্রিকেটে টেস্ট স্ট্যাটাস অর্জন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরেই এসেছে। তিনি একজন ক্রীড়ামোদি সরকার প্রধান। বিধায় আমাদের যুব ক্রিকেট দল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমাদের নারী ফুটবল দল পাকিস্তানসহ আরও অনেককে হারিয়েছে। আমাদের ক্রিকেট দলও পৃথিবীর সমস্ত ক্রিকেট শক্তিকে হারিয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে খেলাধুলার উন্নয়নে প্রতি বছর ক্রীড়া সামগ্রী প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রীর ঐচ্ছিক তহবিল থেকে ১০ লাখ টাকার অনুদান, ১০টি ক্লাবকে ক্রীড়া সামগ্রী, সমাজসেবা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ৭৯ জনকে সুদমুক্ত ঋণ এবং ২৮ জন ক্যান্সার ও জটিল রোগীকে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়।