সৌদি আরবে সিনেমার চাহিদা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে আরও সিনেমা হল নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে সৌদি আরব। বৃহস্পতিবার ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এফআইআই) সম্মেলনে এই পরিকল্পনা জানায় সংশ্লিষ্টরা।
অবশ্য সৌদি আরবে সিনেমা থেকে রাজস্ব আদায়ের হার ২০২০ সালে আগের বছরের তুলনায় ৭১ দশমিক পাঁচ শতাংশ কমে গেছে বলে সম্প্রতি মিডিয়া ও টেক রিসার্চ ফার্ম অমদিয়া জানিয়েছে।
মাজিদ আল-ফুত্তাইম গ্রুপের সিইও ইগনেস লাহাউদ অমদিয়াকে জানান, সৌদি আরবে সিনেমার চাহিদা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। মাজিদ আল-ফুত্তাইম গ্রুপই ওই অঞ্চলে চলচ্চিত্রের প্ল্যাটফর্ম ভক্স সিনেমার তত্ত্বাবধায়ন করে।
তিনি বলেন, করোনা মহামারির প্রভাব বিশ্বের সব দেশের মতো এখানেও পড়েছে। কিন্তু তারপরও লোকে সিনেমা দেখছে। সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ভেনম কিংবা জেমস বন্ডের নতুন সিনেমাগুলো মহামারির আগের সময়ের মতোই দর্শক টানতে পেরেছে।
তিনি বলেন, গত কয়েকবছরে সৌদি আরবে সিনেমার চাহিদা বেড়েছে। ২০২২ সালের শেষে আরও ১০টি শহরে ভক্স সিনেমা হল নির্মাণ করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, ভেনম কিংবা জেমস বন্ড সিরিজের মতো বিশ্বমানের চলচ্চিত্রের পাশাপাশি সৌদি আরবে রয়েছে স্থানীয় কনটেন্টে নির্মিত চলচ্চিত্রের চাহিদা।
এ ব্যাপারে লাহাউদ জানান, স্থানীয় কনটেন্টের প্রতি চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সৌদি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রভিতার বিকাশ ঘটানোর সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় কনটেন্টের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সৌদি আরবে তরুণ ও সৃজনশীল মেধাবী প্রজন্ম রয়েছে। স্থানীয় মেধার পৃষ্টপোষকতা করে আমরা এই শিল্পের উন্নয়ন করতে চাই।
সিনেমার কাহিনি ও দৃশ্যপট দিয়ে সৌদি চলচ্চিত্র বিশ্ব দরবারে সুনাম কুড়াবে বলে মনে করেছেন বিশ্বের চলচ্চিত্র পরিবেশকরা।
২০১৬ সালে প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ‘ভিশন ২০৩০’ ঘোষণা করেন। সামাজিক-অর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে দেশকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে নেওয়ার গতিপথ নির্ধারণের সেই ঘোষণার আওতায় চলচ্চিত্র শিল্পকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়।