‘বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে সাম্প্রদায়িকতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে দেশে সাম্প্রদায়িকতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পকির্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও বাংলাদেশ বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পকির্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

এসময় উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে সাম্প্রদায়িকতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। একের পর হামলার ঘটনা ঘটছে। নাসিরনগরের সাম্প্রদায়িক তাণ্ডবের বিচার আমরা চেয়েছি, অন্য কেউ বিচার চায়নি। কেন বিচার হবেনা? এখন পর্যন্ত চার্জশিট হয়নি। অনেকগুলো মামলা থেকে মাত্র একটি মামলার চার্জশিট হয়েছে। কেন হয়নি বাকী চার্জশিট? এবার যখন হেফাজতের তাণ্ডবের পর আমি কথা বলি তখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে খোঁজ নিয়েছে মামলাগুলো কি অবস্থায় আছে। তাও ৭ মাস হয়ে গেছে। এখন আর খোঁজ নেই।

তিনি গোয়েন্দাদেরকে আসল অপরাধী উল্লেখ করে বলেন, তারা সরকারকে সঠিক তথ্য দেয় না। গত ২০১৬ সালে আরো কিছু ঘটনা আছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল তখন ও কোনো মামলা হয়নি। আমার লক্ষ্য হল মানুষের বাংলাদেশ গড়ব। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানের বাংলাদেশ না, সেটা হবে মানুষের বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে মাউশির সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন বলেন, মধ্যযুগের কবি চন্ডীদাসের যে উক্তি ‘সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই ‘, শুধু মধ্যযুগ নয় প্রাচীনকাল থেকেই এদেশে বিভিন্ন ধর্মের প্রচার হয়েছে। বিভিন্ন শাসকেরা এদেশ শাসন করেছে। তারপরেও আবহমানকাল থেকে ধর্ম নিরপেক্ষতার রূপ নিয়ে সকলে যার যার ধর্ম পালন করেছে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে উৎসব উদযাপন করেছে। সবাই বাঙ্গালী হিসেবে এক সাথে চলেছি। এবিষয়টি বঙ্গবন্ধুও ভালবেসেছিলেন এবং আমাদের মুক্তিযোদ্ধের চেতনায়ও তাই ছিল।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. মো. আবু সাঈদ, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান, বিশিষ্ট নারী সংস্কৃতিকর্মী নন্দিতা গুহসহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন