কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দিঘির পাড়ের পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় দ্বিতীয় দফা রিমান্ডে থাকা ৪ আসামি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। এই ঘটনার নেপথ্য কিছু নাম বের হয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন সিআইডি কুমিল্লার বিশেষ পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান।
শনিবার এই পুলিশ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, আসামিদের ইন্ধনদাতা হিসেবে যাদের নাম পেয়েছি শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। তবে এর আগে রিমান্ডে থাকা আসামিদের দেওয়া তথ্যগুলো অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।
সিআইডির একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রিমান্ডে থাকা চার আসামি প্রথম দফা রিমান্ড চলাকালে খুব বেশি তথ্য দিয়ে সহযোগিতা না করলেও দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শুরুর প্রথম দিন থেকেই তারা নানা তথ্য দিচ্ছে।
গত ১৩ অক্টাবর কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন পাওয়ার ঘটনার পরদিন কুমিল্লা কোতায়ালি মডেল থানার এস আই হারুনুর রশীদ বাদী হয় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের এই মামলাটি দায়ের করেন। প্রথমে মামলাটি তদন্ত করেন ওই থানার এস আই মফিজুল ইসলাম। পরবর্তী সময়ে মামলাটি সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এই মামলায় চারজনকে প্রথম দফায় সাত দিন এবং দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। শুক্রবার থেকে দ্বিতীয় দফার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।
রিমান্ড থাকা আসামিরা হলেন ইকবাল হোসেন, হুমায়ুন কবির, ফয়সাল আহমদ ও ইকরাম হোসেন।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, কুমিল্লার নানুয়ার দীঘির পাড়ে পূজামণ্ডপে এক ব্যক্তি কোরআন শরিফ রেখে প্রতিমার হনুমানের গদা হাতে নিয়ে বেরিয়ে আসছেন। সেটি দুর্গাপূজার মহাঅষ্টমীর (১৩ অক্টোবর) দিন। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর জেরে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
সিসিটিভি ফুটেজে যাকে কোরআন রাখতে দেখা যাচ্ছে তার নাম ইকবাল হোসেন বলে শনাক্ত করে পুলিশ। পরে তাকে ধরতে নানা জায়গায় অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অবশেষে ১৩ অক্টোবর কক্সবাজার থেকে তাকে ধরতে সক্ষম হয় পুলিশ। এছাড়া কুমিল্লা থেকে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।