স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের ১৭টি ফাইল গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছেন সিআইডির ক্রাইম সিনের সদস্যরা। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ছয় কর্মচারীকে আটক করেছে সিআইডি।
আজ রোববার সকালে সিআইডির বিশেষ সুপার মো. কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি টিম তদন্তের জন্য সচিবালয়ে আসে। বেলা ১২টার দিকে তারা ছয়জনকে নিয়ে সচিবালয় থেকে বেরিয়ে যায়।
ক্রাইম সিনের সদস্যরা সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের নিচতলায় (২৯ নম্বর কক্ষ) অতিরিক্ত সচিব মো. শাহাদাৎ হোসাইন ও যুগ্ম সচিব কাজী আনোয়ার হোসেনের কক্ষে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন। এসময় তারা সবার আঙ্গুলের ছাপ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেক করেন। অন্তত ১৩ জনের আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নথি গায়েবের ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষে রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন উপ-সচিব নাদিরা হায়দার।
জিডিতে বলা হয়েছে, গত ২৭ অক্টোবর বুধবার অফিস করে নথিগুলো ফাইল কেবিনেটে রাখা হয়। পরদিন দুপুর ১২টায় কাজ করতে গিয়ে দেখা যায় ফাইলগুলো কেবিনেটের মধ্যে নেই। যে নথিগুলো খোয়া গেছে সেগুলোর সিংহভাগই স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের অধীন বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও বিভাগের কেনাকাটা সম্পর্কিত।