বিশ্বকাপে আবারও টানা ৪ হার বাংলাদেশের

২০১৪ এবং ২০১৬ সালের পর আবারও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে টানা ৪ ম্যাচে হারলো বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপের চলতি আসরে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে মাত্র ৮৪ রান তুলে টাইগাররা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট এবং ৩৯ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় প্রোটিয়ারা। আর তাতেই আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলো টাইগাররা।

রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তাসকিন আহমেদের করা বলে আউট হওয়া আগে মাত্র ২ রানে ফেরেন রেজা হ্যানড্রিকস। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে মেহেদির বলে বোল্ড হওয়ার আগে করেন ১৬ রান।

এদিকে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আবারও বল করতে আসেন তাসকিন আহমেদ। আর পেয়ে যান নিজের দ্বিতীয় শিকার। ব্যক্তিগত শূন্যরানেই কটবিহাইন্ড হন মারক্রাম।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে অধিনায়ক টেম্বা বামুভাকে নিয়ে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যান ভ্যান ডার ডুসেন। তবে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারেননি তিনি। ব্যক্তিগত ২২ রানে নাসুম আহমেদের বলে শরিফুলের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ডুসেন। এদিকে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন বাভুমা। অপরাজিত থাকেন ৩১ রানে। আর ৫ রানে অপরাজিত থাকেন ডেভিড মিলার।

এর আগে ম্যাচের শুরুতে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। কিন্তু ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের পঞ্চম এবং ষষ্ঠ বলে আউট হন নাঈম শেখ এবং সৌম্য সরকার। ব্যক্তিগত ৯ রানে নাঈম এবং শূন্যরানে আউট হন সৌম্য সরকার।

তৃতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নেমে কটবিহাইন্ড হন মুশফিকুর রহিম। তিনিও কোনো রান করতে পারেননি। এরপর লিটন একপ্রান্তে খুঁটি গেড়ে খেলতে থাকলেও অপরপ্রান্তে দাঁড়াতেই পারছেন না কেউই।

অষ্টম ওভারের শেষ বলে দলীয় অধিনায়ক আউট হওয়ার পর নবম ওভারের প্রথম বলেই ফিরেছেন আফিফ হোসেন। আউট হওয়ার আগে ৩ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। অন্যদিকে রানের খাতাই খুলতে পারেননি আফিফ। আর দীর্ঘক্ষণ ব্যাট করার পর ৩৬ বলে ২৪ রান করে ফেরেন ওপেনার লিটন দাস।

শেষদিকে শেখ মেহেদি হাসানের ব্যাটে লজ্জার রেকর্ড থেকে কোনোমতো রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশ। মেহেদি ব্যাট হাতে করেন ২৬ রান। ১১ রানে শামীম, ৩ রানে তাসকিন এবং শূন্যরানে ফেরেন নাসুম আহমেদ। এছাড়া শূন্যরানে অপরাজিত থাকেন শরিফুল ইসলাম

শেয়ার করুন