রমনায় বোমা হামলা মামলা : শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায়

আদালত প্রতিবেদক

রমনায় বোমা হামলা
রমনায় বোমা হামলা। ফাইল ছবি

বহুল আলোচিত রমনায় বোমা হামলার মামলায় আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় এসেছে। মঙ্গলবার (২ নভ্ম্বের) বিকেল ৪টায় বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের হাইকোর্ট বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য রয়েছে।

এর আগে গত ২৩ জুন রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রমনায় বোমা হামলার মামলায় আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানির দিন পিছিয়ে দেন আদালত। ওইদিন আদালত বলেছিলেন, রাষ্ট্রপক্ষকে শেষ সুযোগ হিসেবে এই সময় আবেদন মঞ্জুর করা হলো।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান। আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

এর আগেও কয়েকবার মামলাটি হাইকোর্টের একাধিক বেঞ্চে শুনানির জন্য এলেও দীর্ঘ দিনেও নিষ্পত্তি হয়নি।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের বিচারিক আদালতের রায় ঘোষণার পরে মামলাটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে আসে। এ মামলায় বিচারিক আদালত নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নানসহ আটজনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মুফতি আব্দুল হান্নান, মাওলানা আকবর হোসেন, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে মাওলানা হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মাওলানা আবদুল হাই ও মাওলানা শফিকুর রহমান।

এর মধ্যে সিলেটে সাবেক বিট্রিশ হাইকমিশনারের ওপর গ্রেনেড হামলার মামলায় মুফতি হান্নানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এছাড়া মাওলানা আকবর হোসেন, আরিফ হাসান সুমন ও মাওলানা আবু বকর ওরফে মাওলানা হাফেজ সেলিম হাওলাদার কারাগারে এবং বাকিরা পলাতক রয়েছেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শাহাদাতউল্লাহ জুয়েল, মাওলানা সাব্বির, শেখ ফরিদ, মাওলানা আব্দুর রউফ, মাওলানা ইয়াহিয়া ও মাওলানা আবু তাহের।

২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালানো হয়। হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যান একজন।

এ ঘটনায় নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ ওই দিনই রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুন বিচারিক আদালত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। এরপর ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের জেল আপিল ও ফৌজদারি আপিলের শুনানির জন্য মামলাটি হাইকোর্টে আসে।

শেয়ার করুন