পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্বন নিঃসরণ কমাতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করেছি। আরও ছয়টি কেন্দ্র কীভাবে বন্ধ করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা।
বুধবার (৩ নভেম্বর) গ্লাসগোর জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেন তিনি।
মোমেন বলেন, আমরা প্রেক্ষিত প্ল্যানের দিকে যাচ্ছি। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আইএমএফ অামাদের সহায়তা করবে। কীভাবে কার্বন নিঃসরণ কমানো যায় সেই বিষয় ঢাকা-গ্লাসগো এক পথে হাঁটবে। আমরা যেভাবে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করেছি এতে করে বিশ্ব নেতারা আমাদের প্রশংসা করেছেন। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বর্তমান সরকারের সকল পদক্ষেপ প্রশংসিত হয়েছে।
তিনি বলেন, এবারও আলোচনায় ছিল ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য ১০০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল নিশ্চিত হবে কিনা। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাস উঠে আসে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের আলোচনাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে।
ড. মোমেন বলেন, নীতিগভাবে অধিক কার্বণ নিঃসরণকারী দেশগুলো আপত্তিও জানায়নি। তবে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে তা দিতে একমত নন অনেক দেশের বিশ্ব নেতারা। তবে এতদিন আলোচনার পর এবার এজেন্ডাতে যুক্ত করা হয়েছে। যে টাকা দেওয়ার জন্য আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে তার জন্যও দেওয়া হচ্ছে নানা শর্ত।
মন্ত্রী আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্বন নিঃসরণ কমাতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধ করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার কথা বিবেচনা করেই জলবায়ু মোকাবিলা করছে বাংলাদেশ।