হারলেই বন্ধ হয়ে যাবে সেমিফাইনালের দরজা— এমন শঙ্কার ম্যাচে রানের পাহাড় গড়ার পর শামি-অশ্বিনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৬৬ রানের বড় জয় পেল ভারত। আফগানদের বিপক্ষে দুর্দান্ত এই জয়ে কাগজে-কলমে টিকেও থাকলো মেন ইন ব্লুরা। অবশ্য আসরের বাকি দুই ম্যাচে জিতলেও রোহিত-কোহলিদের তাকিয়ে থাকতে হবে নিউজিল্যান্ডের দিকে।
বুধবার আবুধাবিতে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আফগানিস্তান। খেলতে নেমে শুরু থেকেই তাণ্ডব চালান দুই ভারতীয় ওপেনার রোহিত-রাহুল। তাদের রেকর্ড শতরানের জুটির পর ঝড় তুলেন হার্দিক পাণ্ডিয়া-রিশাব পান্থ। শেষের দিকে ২১ বলে ৬৩ রানের ঝড়ে বিশ্বকাপের বর্তমান আসরে সর্বোচ্চ ২১০ রানের স্কোর গড়ে বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ।
এদিন রোহিত শর্মা ও কেএল রাহুল শতরানের জুটি পার করার রেকর্ড গড়েন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাদের উপরে উদ্ধোধনী জুটিতে বেশি ৫ বার শতরান পার করেছেন পাকিস্তানের বাবর আজম—মোহাম্মদ রিজওয়ান। এখনও চারবার ভারতকে উদ্ধোধনী জুটিতে শতরান পার করে দিয়েছেন তারা রোহিত-রাহুল। পরে তাদের ভিতে দাড়িয়েই বড় স্কোর গড়ে ভারত। ৪৭ বলে ৭৪ রান করে রোহিত শর্মা ফেরার পর বেশি সময় থাকতে পারেননি কেএল রাহুলও। রোহিত আউট হবার ৭ রানের ব্যবধানে ৪৮ বলে ৬৯ রান করে ফেরেন রাহুল।
পরে অবশ্য তাণ্ডব চালান উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান রিশাব পান্থ ও হার্দিক পাণ্ডিয়া। ২১ বলের জুটিতে দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৬৩ রান! ১৩ বলে ৩ ছয় ১ চারে অপরাজিত থাকেন পান্থ। সমান বলে ৪ চার আর ২ ছয়ে ৩৫ রান করেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। তাতেই আসরের সর্বোচ্চ স্কোর গড়ে ভারত। আগের সর্বোচ্চ রান ছিলো আফগানিস্তানের। তারা স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিল ১৯২ রান।
জবাবে খুব ভালো শুরু পায়নি আফগানরা। পাওয়ার প্লেতেই তারা হারান তাদের ২ উইকেট। পরে আফগান শিবিরে তোপ দাগেন ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামি। নিজের কোটার ৪ ওভারে ৩২ রানে নেন ৩ উইকেট।
অবশ্য শুরুর ব্যাটিং বিপর্যয় মাঝের দিকে দারুণ ভাবে সামলে নেন মোহাম্মদ নবী ও করিম জানাত। ৫৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলা দলকে তারা দুজনে টেনে নেন ১২৬ রান পর্যন্ত। অবশ্য তারও আগেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় আফগানিস্তান।
শেষের দিকে ২২ বলে করিম জানাতের ঝড়ো ৪২ রানে হারের ব্যবধানই কমাতে পারে। দলে ফিরে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। নিজের কোটার ওভারে মাত্র ১৪ রান খরচ করেছেন, নিয়েছেন দুটি উইকেট৷
দুর্দান্ত জয়ে আসরে টিকে থাকলেও পয়েন্ট টেবিলে খুব বেশি আগাতে পারেনি কোহলির দল। ৩ ম্যাচে এক জয়ে তারা রয়েছে গ্রুপ-২ এর ৪ নম্বর অবস্থানে। এই গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তান। ৪ ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে এই গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে আছে আফগানিস্তান।