পকেট ভারী করতে সরকার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়িয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, নিজেদের দলের লোকদের পকেট ভারী করতে, তাদের ব্যবসা বাড়ানোর জন্য ডিজেল কেরোসিনের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকায় রওনা হওয়ার আগে ঠাকুরগাঁও শহরের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, কারণ এই সরকার নির্বচিত সরকার নয়, তাদের দায়দায়িত্ব নেই, কোথাও জবাবদিহি করতে হয় না, সংসদে জবাবদিহি করতে হয় না।
বুধবার মধ্যরাতে সরকার জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কথা জানায়। ডিজেলের দাম ৬৫ টাকা থেকে করা হয়েছে ৮০ টাকা। কেরোসিনের দাম ১৫ টাকা বাড়িয়ে হয়েছে ৮৫ টাকা।
এদিকে বৃহস্পতিবার এলপি গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে কেজিপ্রতি সাড়ে চার টাকা। অর্থাৎ ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে ৫৪ টাকা।
এভাবে সবকিছুর দাম বাড়ানোয় সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকাই দায় হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের দেশের যখন মানুষ চাল ডাল তেল লবণ ইত্যাদি দ্রব্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির ফলে হিমশিম খাচ্ছে, তখন জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি দ্রব্যমূল্য আরও বেড়ে যাবে।
‘এতে পরিবহন খরচ বাড়বে এবং প্রত্যেকটি জিনিসের দাম বাড়বে। অন্যদিকে বিদ্যুতের দাম বছরে ২/৩ বার বাড়ানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস দেখা দিয়েছে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষের মাঝে টিসিবির পণ্য স্বল্পদামে দেওয়া হতো সেটারও দাম বাড়ানো হয়েছে। এভাবেই সাধারণ মানুষের মাঝে নির্যাতন আরও বাড়ানো হলো। সরকার পণ্যের দাম বাড়িয়ে জনগণের ওপর নিবর্তনমূলক আচরণ করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এতে অর্থনীতিতে প্রচণ্ড রকমের চাপ সৃষ্টি হবে। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাবে।
পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের আন্দোলনে সমর্থন
এদিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডিজেলের দাম না কমালে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন বন্ধ রাখার যে ঘোষণা দিয়েছেন মালিক-শ্রমিকরা তাতে বিএনপির সমর্থন থাকবে বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ট্রাক শ্রমিক সংগঠনগুলো ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে সেখানে সমর্থন থাকবে। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আল মামুন আলম, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফসহ বিএনপির অন্য সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।